গঙ্গার জলস্তর হতে চলেছে প্রায় ১৮ ফুট, প্রবল বর্ষণে আজ ভাসতে চলেছে কলকাতা
বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণে ভাসতে চলেছে কলকাতা। তার উপর রয়েছে ভরা কোটাল। ফলে এদিন দুপুরে গঙ্গার জলস্তর হতে পারে প্রায় ১৮ ফুট। তাই বৃষ্টি হলে জল জমার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এদিনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য নদী বাধ-বসত বাড়ি। বন্যায় ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। দেখুন ছবি।
| Published : May 27 2021, 02:30 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এদিন সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। ইতিমধ্যেই কলকাতার জন্য আবহবিদরা সতর্ক করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালেও রয়েছে ভরা কোটাল। ফলে এদিন দুপুরে গঙ্গার জলস্তর হতে পারে প্রায় ১৮ ফুট।
তাই ঘূর্ণিঝড় কমলেও এদিন কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন বেলা সাড়ে ১১ টাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লকগেট। আর খোলা হবে বিকেল ৪ টে সময়। তাই বৃষ্টি হলে জল জমার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।
ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে এদিনও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে রাজ্য়ের পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য নদী বাধ-বসত বাড়ি। বন্যায় ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
যশের তাণ্ডবে তছনছ অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর থানার দূর্বাচটি খাল লাগোয়া একাধিক গ্রামের। জোয়ারের জলে তোড়ে ভেঙে গিয়েছে ৬ টি বাঁশের সাঁকো।
এই বাঁশের সাঁকো দাসপুর এলাকার কাশিনাথপুর, খয়রা,মসালচক,নারায়নচক সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের উপায়।
চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের উদ্যোগে যেমন খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে তেমন মানুষের যাতায়াতের জন্য দ্রুত স্থায়ূ ব্যবস্থা করা হোক।