আগামী মাসেই 'চালু কলকাতা মেট্রো', কী বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
আগামী সেপ্টেম্বরে আনলক ৪ শুরু হতেই চালু হতে পারে মেট্রো পরিষেবা। দেশের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতাতেও চাকা ঘুতে পারে মেট্রোর। এখন সবই শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়। তবে চালু হলেও কীভাবে সামাজিক দূরত্ব মানা হবে মেট্রোতে, তা নিয়েই চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।
- FB
- TW
- Linkdin
অতীতে রাজ্য় প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য়বিধি মেনে মেট্রো চালানোর আবেদন করেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এ বিষয়ে নবান্নে কলকাতা মেট্রোর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয় রাজ্য়ের। কিন্তু পরে তা ঠানাাডা ঘরে চলে যায়। দেশে করোনা পরিস্থিতি বাড়ছে দেখে হিমঘরে পাঠানো হয় সেই প্রস্তাব। যদিও আপৎকালীন পরিষেবারা জন্য় মেট্রো চালানো যেতে পারে বলে জানানো হয় রাজ্য়কে। সে বিষয়ে রেলমন্ত্রকের ছাড়পত্র মিললেই শুরু হওয়ার কথা পরিষেবা।
এদিকে রাজ্য় সরকারের তরফে মেট্রো চালানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আবেদন করা হয়েছে। মূলত দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরই মেট্রো রেল চালানোর আবেদন জানায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই চিঠি। তাই নতুন করে আশা দেখছে কলকাতাও।
ঠিক হয়েছে কলকাতা মেট্রো চালু হলে গেটের ঢোকার মুখেই রাখা হবে স্যানিটাইজার টানেল। প্রতিনিয়ত টোকেনগুলিকে স্যানিটাইজ করা হবে। প্রয়োজনে অ্য়াপের মাধ্য়মে রিচার্জ করা যাবে স্মার্ট কার্ড। অ্য়াপ দিয়েই কাটা যাবে টিকিট।
প্রস্তাব অনুসারে সামাজিক দূর্তব বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সংখ্য়া যাত্রী ওঠানো হতে পারে কামরায়। মুখে মাস্ক ছাড়াও ফেস শিল্ড হতে পারে বাধ্য়তামূলক। দাগ দিয়ে কোথায় দাঁড়াতে হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেবে মেট্রো কর্তপক্ষ। কিন্তু এসবই এখনও অনেক দূরের ভাবনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অনুমতি না দিলে চলবে না মেট্রো।
মূলত, মেট্রো রেলে যাত্রী কমানো গেলেও ফুটফল কমবে না এলাকায়। সেক্ষেত্রে স্টেশন চত্বরে ফুটফল কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে চিন্তায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কত মিনিট পরপর এই ট্রেন চালানো হবে তাও রয়েছে বিবেচনার মধ্য়ে।
।