বাংলায় কোভিডের ১ বছর পার, কী অবস্থা কলকাতার
কোভিডবর্ষ পার হতে ফের নতুন করে সংক্রমণে সামনাসামনি কলকাতা। কোভিডে নাম তখনও ছড়ায়নি দেশে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তখন সবে ধীরে ধীরে ঢুকছে বিশ্বের কোভিড বার্তা। তখন তৃতীয় বিশ্বের ভারত ভেবে উঠে পারেনি, একদিন তাঁদেরকেও সামনাসামনি করতে হবে এই মহামারির। মৃত্যু হলেও শেষ দেখাটুকুও করতে পারবে না পরিবার। তখন বহাল তবিয়তে দেশে যাতায়াত আন্তর্জাতিক উড়ানের। আচমকাই ছন্দপতন। জনতা কার্ফু হয়েই কোভিড চিত্র রাতারাতি বদলে গেল দেশে। ১৭ মার্চ ২০২০ ঠিক একবছর আগে বিলেত ফেরত আমলার ছাত্রই প্রথম বঙ্গভূমিতে পা রাখল কোভিড পজিটিভ হয়ে। তারপর শুধু ধ্বংসলীলা দেখেছে দেশ তথা রাজ্য। একবছরে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৯, ১৫৬ এবং কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৯৮ জনের। এই মুহূর্তে কোভিডবর্ষ পার করে ঠিক কী অবস্থায় দাড়িয়ে রয়েছে কলকাতা দেখে নেওয়া যাক।
- FB
- TW
- Linkdin
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১ জন এবং এর মধ্যে কলকাতায় একদিনে মৃত্যু সংখ্যা শূন্য। এবং উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু ১ জনের। বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১০,২৯৮ জন। কলকাতায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩,১০৯।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ জন এবং কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০,৭৮৩ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৫৭৯, ১৫৬ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গেএই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া৩ হাজার ১৫৮ থেকে ৩ হাজার ১৮৮ জন।
বুধবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭২ জন। তাই বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬৫,৩৯৮ জন থেকে ৫৬৫,৬৭০ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৬৭ শতাংশ।
পাশাপাশি সম্প্রতি কলকাতায় বিদেশি স্ট্রেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াও বেড়েছে। ব্রিটেন স্ট্রেনে কোভিড আক্রান্তর সঙ্গে সামিল হয়েছে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনও। এনিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকেরা।
ওদিকে দেশে এখন করোনার ২ টি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্য়াকসিনের মাধ্যমে চলছে টিকাকরণ। তবে কোভিশিল্ড নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা আগেই জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কম কাজ করছে তাঁদের ভ্য়াকসিন। তাই কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেন ধরা পড়তেই উদ্বেগ বাড়ল স্বাস্থ্য দফতরের।