অগ্রিম 'বুক' করে চড়তে হবে, NEET-র জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর চলতে পারে বিশেষ মেট্রো
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা আবহে পরিষেবা ফের চালু হলে স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করেই সরাসরি মেট্রো স্টেশনে ঢোকা নাও যেতে পারে। বিমানবন্দরের মতো কোনও অ্যাপ বা নির্দিষ্ট লিঙ্কের মাধ্যমে যাত্রার সময় আগাম জানিয়ে পাস বুক করতে হবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে চলবে মেট্রো। কলকাতায় মেট্রোর প্রতি কোচে আসন সংখ্যা হল ৪৮ করে। ৮ টি করে কোচ থাকায় মোট আসন সংখ্যা হল ৩৮৪ জন। এক তৃতীয়াংশ হওয়ায় সেই আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ১২৮ জন। এরপর সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন দাঁড়িয়ে যাবেন বলে মনে করছে মেট্রো। সব মিলিয়ে একটা রেকে ৩২৮ জন করে যেতে পারবেন।
রাজ্য-মেট্রোর বৈঠকে, যাত্রী-সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে গিয়েই ই-বোর্ডিং পাসের কথা ওঠে। এর জন্য অ্যাপ এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন ও পরিবহণ দফতর মেট্রোকে সাহায্য করবে বলে খবর। 'পথ দিশা' অ্যাপের মাধ্যমে ওই লিঙ্ক যাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় কি না, সেটাও ভাবা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর মেট্রো জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী নিজে স্টেশন পরিদর্শনে যাবেন। এরপরই মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু হতে পারে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর। নিট পরীক্ষার দিনে স্পেশাল মেট্রো চালাতে অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, মাত্র একটি গেট এন্ট্রি ও একটি এক্সিট গেট হিসেবে থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্টেশনে ও ট্রেনে মার্কিং করে দিতে হবে। সমস্ত যাত্রী ও কর্মীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাঁদের মাস্ক নেই তাঁদের জন্য অর্থের বিনিময়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
শুধুমাত্র উপসর্গহীন যাত্রীরাই মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রবেশ দ্বারে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। কারও অসুস্থতা ধরা পড়লে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে স্থানীয় কোভিড সেন্টারে। যাত্রীদের জন্য প্রবেশ দ্বারে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্টেশন ও ট্রেনের সমস্ত অংশে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধুমাত্রা স্মার্টকার্ড ও ক্যাশলেস যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে।