- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- লকডাউনের মাঝে ফাদার্স ডে, ট্রিপ বা গিফট নয়, সেলিব্রেশনে থাকুক এবার অন্যরকমের উপহার
লকডাউনের মাঝে ফাদার্স ডে, ট্রিপ বা গিফট নয়, সেলিব্রেশনে থাকুক এবার অন্যরকমের উপহার
বাবা, এই শব্দটার মধ্যে লুকীয়ে আছে অনেক কিছু। শুনতে খুব সহজ মনে হলেও শব্দটা খুবই ভারী। প্রকৃত পিতা হয়ে ওঠা সহজ নয়। ত্যাগ, দায়িত্ববোধ, সততা, সাহস, আরও অনেক শব্দ এক জায়গায় হয়ে, বাবা শব্দটি তৈরি হয়। বটবৃক্ষ হয়ে যিনি সবসময় সন্তানদের আগলে রাখেন, তিনিই বাবা। সমস্ত ঝড়, বাঁধা, বিপত্তিতে যিনি সন্তানের পাসে দাঁড়ান, তিনিই বাবা। আজ জুন মাসের তৃতীয় রোববার। বছরের এই দিনকেই ফাদার্স ডে হিসেবে পালন করা হয়। সন্তানরা প্রতেকেই এই দিনটিতে তাদের বাবাকে কোন না কোন উপহার দিয়ে, বাবার প্রতি তাদের ভালোবাসা ব্যাক্ত করে। কোন কোন ধরনের উপহার এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে?

প্রতিবছরই এই একটা বিশেষ দিনে কেমন যেন ইচ্ছে হয় বাবাকে একটা ধন্যবাদ জানাই। জানাই এই কারণে, সন্তানদের প্রতিটা মুহূর্তের বায়না, জেদ, অভিমান, বিপদকে বুক আগে সামলানোর ক্ষমতা রাখেন এই মানুষটা। অথচ, পরিবারে সকথেকে বেশি ব্যস্ত থাকেন তিনিই, সময়ও পান অনেকটা কম। তবে দিনের বাকি সময়টা যে হয়রানি, ক্লান্তি, তার কারনও দিনের শেষে সেই সন্তান ও পরিবার। সেই মানুষটাকে লকডাউনে এবার একটু অন্যভাবে ভালোবাসা জানাতে পারলে মন্দ হয় না।
মিউজিক সিসটেম- বাড়িতে থাকতে থাকে, আর প্রতি নিয়ত মৃত্যুর খবর দেখতে দেখতে সকলেই ক্লান্ত। এমন সময় হাতে রিমোর্ট থাকলেই মনে হয় একটু খবরটা দেখি। তা থেকে বিরত রাখতে ও মন ভালো রাখতে মিউজিকের বিকল্প নেই। তাই একটা ভালো মিউজিক সিস্টেম এবার বাবাকে উপহারে দিয়ে দিন।
পুরনো ছবির কোলাজ – বাবার সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি একসাথে কোলাজ করুন। এবারে কোলাজ করা ছবিগুলোকে একটি সুন্দর ফ্রেমে বাঁধিয়ে বাবাকে উপহার দিন। তবে ছবি বাঁধানোর সময় অবশ্যই ছবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফ্রেমের আকৃতি ও রং বেছে নিন।
ট্রেইডমিল- বাজেট যদি একটু বেশি থাকে, তবে অবশ্যই শরীর ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। টানা এক বছর বাড়িতে বসে। শরীরচর্চায় খামতি থাকছে। তাই এবার ঝুঁকি না নিয়ে দিয়ে দিন একটা ট্রেইটমিল। তাতে নিত্য শরীরচর্চার দিকেও নজর থাকবে।
হাত ঘড়ি – ঘড়ি পড়তে পছন্দ করেন না, এমন পুরুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে শৌখিন মানুষদের কাছে এর গুরুত্ত অপরিসীম। তাই ফাদার্স ডে তে হাত ঘড়ি হতে পারে শ্রেষ্ঠ উপহার। তবে চেষ্টা করবেন চামড়ার বেল্টের ঘড়ি কিনতে। এর পাশাপাশি বাবার হাতে যাতে ঘড়িটি ফিট হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখবেন।
লাঞ্চে থাকুক বাবার পছন্দের খাবার – আজকের মেনুতে থাকুক বাবার পছন্দের খাবারগুলি। এখন অনেকেই অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে খেতে ভালোবাসেন। তবে এই বিশেষ দিনে অন্তত বাইরে থেকে খাবার না এনে, বাড়িতে নিজের হাতে রান্না করুন। বাবার পছন্দের খাবারের রেসিপি যদি না জানেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। চটকরে অনলাইনে দেখে বানিয়ে ফেলুন। এতে খাবারে একটু নুন কম হলেও, বাবা খুশিই হবেন।
নিজের হাতে বানানো কার্ড – মানুষের মনে কিছু কথা থাকে, যা মুখে প্রকাশ করা যায় না। সেই সব কথা লেখায় প্রকাশ পায়। তাই নিজের হাতে তৈরি করা কার্ডে বাবাকে নিয়ে, নিজের মনের মতো করে লিখুন। এবারে কার্ডটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে বাবাকে উপহার দিন। আপনার মুখে প্রকাশ করতে না পারা কোথাগুলির মূল্য বাবাদের কাছে কোন অংশেই কম নয়।
ফুলের গাছ- অবসরে কীভাবে সময় কাটাবেন বুঝতে পারছেন না, এমন সময় বাবাকে ব্যস্ত রাখতে ও মন অন্যদিকে ঘোরাতে বেশ কিছু গাছ কিনে দিতে পারেন। তার পরিচর্যা, যত্ন নিয়ে মেতে থাকবেন তিনি। প্রতিদিন ফুল হওয়া, যা থেকে বেশ কিছুটা সময় তাঁর ভালোই কাটবে।
গল্পের বই- লকডাউনে এখন বাড়িতেই কাটছে সময়, তাই বাবার পছন্দের লেখকের একটা বই আজ তার হাতে তুলে দেওয়া যেতেই পারে। আর তা নিয়ে আরও কয়েকটা দিন বাড়িতেই আটকে রাখা যাবে তাঁকে। ফলে পছন্দের তালিকায় এই বিষয়টা রাখতে ভুলবেন না।
বাবার পছন্দের উপহার – বেশ কিছু দিন আগে বাবা হয়তো আপনার কাছ থেকে কিছু একটা চেয়েছিলেন। কিন্তু কোন কারণ বশত বাবাকে তা দেওয়া হয়ে ওঠেনি। তাহলে ফাদার্স ডে হলো আপনার কাছে সঠিক সময়। কোভিডের কথা মাথায় রেখে কিছু দিন আগেই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দিন। এর পর ফাদার্স ডের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগে বাবার বালিশের পাসে উপহারটি রেখে দিন। উপহারটির ওপরে ফাদার্স ডে উপলক্ষে কিছু লিখে দিন। আপনার দেওয়া এই উপহারটি আপনার বাবার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।