কম ঘুম মানেই ইনসোমনিয়া নয়, থাকতে পারে অন্য সমস্যাও
রাত থেকে থাকার সমস্যা, ও কম ঘুমের মত সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর ঠিক মতো ঘুম না-হওয়া মানেই অনেক সমস্য়া, যা আমরা অত ভেবেও দেখি না। ঘুম না-হলে সারাদিন কাজ করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেয়। কাজে মন বসে না, খিটখিটে মেজাজ, মাথা যন্ত্রণা, হজমের সমস্যা আরও কত কি। সব থেকে বড় বিষয় হল কাজে মনযোগ দেওয়া যায় না,সারাদিন ক্লান্ত লাগে। যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্য়া থাকে, সে ক্ষেত্রে সমস্য়া আরও বাড়তে পারে। তবে জেনে নেওয়া দরকার, ঘুম না-আসা মানেই কিন্তু ইনসোমনিয়া নয়। এর পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। জেনে নিন সেই কারণগুলি কি কি-
| Published : Mar 29 2021, 02:49 PM IST / Updated: Mar 29 2021, 02:52 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
যদি প্রচ্ছন্ন অবসাদ কাজ করে তবে তা থেকেই কম ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রেস থাকলে যেমন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তেমন অবসাদেও কিন্তু ভালভাবে ঘুম আসে না।
তাই দেখতে হবে যে, অবসাদের বাকি লক্ষণগুলো রয়েছে কিনা। যেমন,
১) আগের যেই জিনিসগুলো ভালো লাগতো তা এখন আর ভাল লাগে না।
২) মন সব সময় খারাপ হয়ে থাকে।
৩) মাঝে মধ্য়েই কান্না পায়।
৪) খিদে কমে যায় বা খুব বেড়ে যায়-ইত্যাদি।
তবে স্ট্রেস থাকলেও ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটতে পারে। অফিসের চাপ বাড়ি বয়ে আনলে স্ট্রেস অবধারিত।
অনেক সময়ে অন্য় দুশ্চিন্তাও অবচেতনে কাজ করতে থাকে, আর তার থেকেই রাতে ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটে।
তাই স্ট্রেস বা টেনশন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে প্রাণায়াম করুন। তা সত্ত্বেও যদি ঘুম না-আসে, তাহলে একজন মনোবিদের পরামর্শ নিন।
ঘুমের জন্য় একটা প্রস্তুতি দরকার, একটা উন্নত পরিবেশের দরকার। যেমন ঘরের বড় আলোটা নিভিয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে হয়তো-বা পছন্দের কোনও গান বা নাটক শোনা।
মোবাইলের স্ক্রিন থেকে চোখ একেবারে সরিয়ে নিতে হবে। ঘুম আসছে না দেখে আপনি রাত জেগে মোবাইল ঘাটলেন, তাতে করে ঘুম আরও কমে যাবে।
তাই রাতে শোওয়ার সময়ে ফোনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখুন। প্রয়োজনে ফোন শোওয়ার ঘরেই রাখবেন না।