- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- পালিত হচ্ছে দ্য ডে অফ আনবর্ন বেবি, গর্ভপাত রুখতে গুরুত্ব দিন এই কয়টি বিষয়
পালিত হচ্ছে দ্য ডে অফ আনবর্ন বেবি, গর্ভপাত রুখতে গুরুত্ব দিন এই কয়টি বিষয়
২৫ মার্চ পালিত হচ্ছে ‘দ্য ডে অফ আনবর্ন বেবি’ (The day of unborn baby)। এই দিনটি সেই সকল বাচ্চাকে (Baby) উৎসর্গ করা হয়, যারা ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই মৃত্যু বরণ করেন। এর কারণ গর্ভপাত। ১৯৯৩ সালে ‘জন্ম নেওয়ার অধিকারকে’ স্মরণ করার জন্য দিনটি নির্দিষ্ট করেন। এই দিন গর্ভপাতের কারণে মারা যাওয়া অনাগত শিশুদের সম্মান করার লক্ষ্যেই দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই বিশেষ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি (Programme) পালিত হয়। যেখানে জন্ম নেওয়ার অধিকার প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়ে থাকে।
- FB
- TW
- Linkdin
গর্ভধারণের মুহূর্ত থেকে প্রতিটি মানুষের মূল্য ও সম্মানের জন্য দিনটি পালন করা হয়। ১৯৯৩ সাল থেকে ২৫ মার্চ দিটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গর্ভপাতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হয় এই দিন। গর্ভপাতের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের অংশ নিতে দেশগুলো এই দিনটি পালন করে থাকেন।
ইতিহাস অনুসার দ্বিতীয় জন পল এই দিনটিকে, জীবনের পক্ষে একটি ইতিবাচক পছন্দ এবং জীবনে সংস্কৃতির বিস্তার হিসেবে দেখেছিলেন। তাঁর মতে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে মানুষের মর্যাদার প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার জন্যই দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়। এই দিনটি গর্ভস্থ বাচ্চাদের সম্মান প্রদান করে। সেই সকল বাচ্চার উদ্দেশ্যে দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মারা যান।
‘দ্য ডে অফ আনবর্ন বেবি’ দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যোগ দেন। ১৯৯৯ সাল থেকে মুসলিম, ইহুদি, অর্থোডক্স সকল ধর্মের মানুষ এতে অংশ নেন। প্রতিটি দেশে পালিত হয় এই কর্মসূচি। আর এই সব কর্মসূচিই গর্ভপাতের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য গৃহীত হয়।
‘দ্য ডে অফ আনবর্ন বেবি’ দিনটি গর্ভধারণ থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের মূল্য ও মর্যাদাকে সম্মান করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬০ শতাংশ যাদের গর্ভপাত হয় তারাদের বয়স ২০-র কোঠায়। ২৫ শতাংশের বয়স ৩০-র কোটায় ১২ শতাংশ কিশোরী।
গর্ভাবস্থায় তামাক, সিগারেট, অ্যালকোহল খাওয়ার কারণ হতে গর্ভপাত। জানা গিয়েছ, গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল খেলে মায়ের রক্তালী থেকে তা শিশুর রক্তনালীতে পৌঁছায়। যার ফলে ভ্রূণের অ্যালকোহল সিন্ড্রোম হতে পারে। এতে গর্ভবস্থ বাচ্চার শুধু ক্ষতি হয় এমন নয়। গর্ভবস্থায় মদ্যপানে জন্য গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই সময় ভুলেও মদ্যপান করবেন না।
বর্তমান সমাজে মানসিক চাপে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এই মানসিক চাপের কারণে বাড়ছে নানা রকম রোগ। গর্ভবস্থায় মানসিক চাপ মোটেও ভালো নয়। এই সমস্যা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক চাপ মুক্ত থাকা সম্ভব। অকারণ চিন্তা করবেন না। এতে বাচ্চার ক্ষতি হবে।
গর্ভাবস্থায় খাওয়া দাওয়ার ওপর বিশেষ নজর দিন। এই সময় প্রতিটি মায়ের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দরকার। তা না হলে, বাচ্চা সঠিক পুষ্টি পায় না। এর থেকে শুধু বাচ্চার ক্ষতি হয় এমন নয়, গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে গর্ভধারণের পর থেকেই খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর দিন।
মা-বাবার থেকে একাধিক রোগে সংক্রমিত হয় গর্ভস্থ বাচ্চা। এর মধ্যে রয়েছে, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন। এটা যৌনবাহিত রোগ। এসটিআই এর মধ্যে রয়েছে ক্ল্যামাইডিয়া, গনোরিয়া, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, জেনিটাল হারপিস, জেনিটাল ওয়ার্টস, এইচআইভি-র মতো সমস্যা। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার আগেই এই সকল রোগের চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। তবেই মা ও বাচ্চা দুজনেই ভালো থাকবে।
তাই সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে ৯ মাস নিয়ম মেনে চলুন। এই সময় যেমন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার তেমনই দরকার সঠিক জীবনযাত্রা। প্রতি মুহূর্তে চলতে হবে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে। বর্তমানে জীবন যাত্রার জন্য নানা রকম রোগে আক্রান্ত হন মেয়েরা। যাতে গর্ভধারণের সমস্যা হয়। তাই আগে থেকে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
তাই গর্ভস্থ বাচ্চাকে রক্ষা করতে মেনে চলুন এই বিশেষ কয়টি দিন। সঙ্গে গর্ভপাত বন্ধের জন্য জোড় দিন এই কয়টি বিষয়। প্রতিটি মানুষের পৃথিবীর আলো দেখার অধিকার আছে, এই ধারণা প্রসন করুন সকলের মধ্যে।