মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে Setting Spray-র গুণে, রইল ব্যবহারের সহজ পদ্ধতি
চলছে বৈশাখ মাস। বাংলার নতুন বছর পড়ার পর থেকে একের পর এক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ যেমন থাকে, তেমনই থাকে বিবাহ বার্ষিকী, পৈতে থেকে জন্মদিন বাড়ির। এর সঙ্গে অফিসের পার্টি তো আছেই। আর গরমের মরশুমে চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আর এই সকল অনুষ্ঠান মানে সকলের চোখে অনন্যা হয়ে ওঠার লড়াই। কোনও অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ আসলেই সেখানে কী পরে যাবে, কেমন করে সাজবেন তা নিয়ে রমণরীরা চিম্তায় পড়ে যান। আসলে, গরমে মেকআপ করলেই হল না তা যাকে অক্ষত থাকে সে দিকে নজর দেওয়া বেশ জরুরি। এক্ষেত্রে ব্যবহার করুন মেকআপ সেটিং স্প্রে।
- FB
- TW
- Linkdin
)
হেয়ার স্প্রে যেমন চুলের স্টাইল অক্ষত রাখে, তেমনই মেকআপ সেটিং স্প্রে আপনার মেকআপ অক্ষত রাখে। অনেকেই এটা ব্যবহার করতে চান না। মনে করেন এতে থাকা উপকরণ আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে। কিন্তু, চড়া মেকআপ করলে এই স্প্রে ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন। মেকআপ সম্পূর্ণ হয় না, মেকআপ সেটিং স্প্রে ছাড়া।
তবে, এই মেকআপ সেটিং স্প্রে কেনার আগে মনে রাখবেন আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে ময়েশ্চার যুক্ত মেকআপ সেটিং স্প্রে কিনুন। এতে আপনার ত্বককে হাইড্রেটিং ফিনিশ দেবে। তৈলাক্ত ত্বক হলে কিনে ফেলুন ম্যাট সেটিং স্প্রে। স্বাভাবিক বা সেনসেটিভ ত্বক হলে, তার জন্য রয়েছে আলাদা ধরনের স্প্রে। ত্বক বুঝে কিনতে হবে মেকআপ সেটিং স্প্রে।
মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে মেনে চলতে হবে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পথ। সবার আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বকের উপযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। ফেসওয়াশ দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করলে ত্বকের রোমকূপে জমে থাকা সকল নোংরা দূর হবে।
মুখ ধোয়ার পর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার। অনেকেই গরমে ত্বকে ময়েশ্চরাইজার দিতে চান না। মনে করেন এতে ত্বকের ক্ষতি হবে। এটা একেবারে ভুল ধারণা। ত্বকে মেকআপ করার আগে অবশ্যই ময়েশ্চরাইজার দিতে হবে। ত্বকের উপযুক্ত প্রোডাক্ট বেছে নিন। মুখ পরিষ্কার করার পর তা শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ময়েশ্চরাইজার ব্যবহারে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
এবার লাগান প্রাইমার। ত্বকে কালো প্যাচ, ব্রণর দাগ, ডার্ক সার্কেলের মতো একাধিক সমস্যা থাকে। এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন প্রাইমারের সাহায্যে। ত্বকের উপযুক্ত ও শেড বুঝে প্রাইমার কিনবেন। স্কিন টোনের সঙ্গে প্রাইমারের রঙ না মিললে মেকআপ ফুটে উঠবে। তাই এই প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিন। আর অবশ্যই ভালো করে ব্লেন্ড করুন প্রাইমার।
এবার ব্যবহার করুন কালার কারেক্টর। ত্বকে অনেকেরই ব্রণ-র জন্য নানা রকম খুঁত থাকে। এই খুঁত ঢাকলে লাগান কালার কারেক্টর। পিগমেন্টেশন, লালচে ভাব হবে কালার কারেক্টরের সাহায্যে। নীল, সবুজ, বেগুনি, কমলা ও হলুদ রঙের কারেক্টর পাওয়া যায়। আপনার ত্বকে কোনটা উপযুক্ত তা জেনে কিনে ফেলুন এতে ত্বকের সকল ধুঁত ঢেকে যাবে।
এবার লাগান ফাউন্ডেশন। ত্বকের উপযুক্ত ও শেড বুঝে ফাউন্ডেশন কিনবেন। স্কিন টোনের সঙ্গে প্রাইমারের রঙ না মিললে মেকআপ ফুটে উঠবে। আর ফাউন্ডেশন ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে। এর জন্য স্পঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন। তবে, ব্যবহারের পর এই স্পঞ্জ অবশ্যই পরিষ্কার করে নিন। অপরিষ্কার স্পঞ্জ ব্যবহার ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে।
এবার করুন চোখের মেকআপ। চোখে সবার আগে লাগান শ্যাডো। তারপর কাজল, শেষে লাইলার ও মাস্কারা। গরমে ওয়াটার প্রুভ প্রোডাক্ট বেছে নেবেন। তাহলে তা সহজে ঘেঁটে যাবে না। চোখে কেমন মেকআপ করতে চাইছেন তা আগে থেকে ঠিক করে নিন। সেই অনুসারে চোখের মেকআপ করুন।
এবার আসে ঠোঁটের পালা। প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকুন। তারপর লাগান লিপস্টিক। পোশাকের সঙ্গে মানানসই হবে এমন রঙ বেছে নিন। তাছাড়া লিপস্টিক লাগানোর পর একটি টিস্যু পেপার রাখুন দুই ঠোঁটের মাঝে। তারপর তা ফেলে দিন। এবার লাগান লিপগ্লস। এতে ঠোঁটের ভিতরের দিকে লেগে থাকা লিপস্টিক দাঁতে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
সব শেষে লাগান মেকআপ সেটিং স্প্রে। এটি X এবং T মোশনে আপনার সারা মুখে স্প্রে করুন। এতে আপনার মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। মেকআপ সেটিং স্প্রে করার আগে চোখ বন্ধ রাখুন। চোখে লাগলে তা জ্বালা অনুভব হবে। ত্বকের ধরন বুঝে স্প্রে কিনবেন। তাহলে এর থেকে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না।