- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ মেখে স্নানের রীতি, জেনে নিন ত্বকের জন্য কতটা কার্যকর হলুদ
সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ মেখে স্নানের রীতি, জেনে নিন ত্বকের জন্য কতটা কার্যকর হলুদ
- FB
- TW
- Linkdin
হলুদের উপকারীতা বলে শেষ করার মত নয়। কাঁচা হলুদ একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। তাই কাঁটা এবং পোড়া জায়গায় হলুদ বাটা লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি ব্যথা এবং দাগের উপশম হয় বলে মনে করা হয়। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ও অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময়কারী। এটি চর্বি বিপাকে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
কাঁচা হলুদ ভ্যাস্কুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হলুদের মানসিক অবসাদ রোধ করতে ব্যবহৃত অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্টের কাজও করে । এ ছাড়া, এই উপাদানে রয়েছে অ্যাস্পিরিনের গুণ।
যে কোনও চর্ম রোগের জন্য হলুদ অনেক উপকারী। কাঁচা হলুদের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে একজিমা, অ্যালার্জি, ব়্যাশ, চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হলুদ ত্বকের যত্নে একটি অন্যতম প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা যেমন দাগ, ব্রণ এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য নানাভাবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এই কারণেই বসন্তকালে সরস্বতী পুজোর দিন গায়ে হলুদ মেখে স্নান করে তবেই পুজোয় বসার রীতি রয়েছে।
হলুদ গায়ের ত্বক ফর্সা ও লাবণ্যময় করে তোলে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেলে, ধীরে ধীরে ত্বকের রঙ ফর্সা হয়। হলুদ দিয়ে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এটি শুধু ত্বকের সমস্যা দূর করতেই সাহায্য করবে না বরং মুখের উজ্জ্বলতাও আনবে।
এর জন্য আপনার লাগবে ১ টেবিল চামচ বেসন, ২ চা চামচ হলুদ এবং ২ চা চামচ দুধ। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ভেজা ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিটের জন্য এটি ছেড়ে দিন। আলতো করে আঙ্গুল দিয়ে মাস্কটি মুছুন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা কেড়ে নিতে পারে। বেসন মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। দুধ ত্বককে টানটান করতে এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
এর জন্য আপনার প্রয়োজন হলে ১ টেবিল চামচ অর্গানিক মধু এবং ১ চামচ হলুদ। মধু ও হলুদের পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটি রেখে দিন। এর পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ক্ষত এবং ত্বকের সমস্যাগুলির চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ত্বক হাইড্রেটরও।
এর জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ হলুদ, ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ জোজোবা তেল, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং দুধ। সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগান। ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক সপ্তাহে একবার বা দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে। লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি মেশানো দাগ এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। জোজোবা তেল সিবাম এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করতে পারে। জোজোবা তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২ টেবিল চামচ দই, ১ চিমটি চামচ হলুদ এবং 1 চামচ অলিভ অয়েল। উপাদানগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি নিস্তেজ ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।