- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- রইল খরচ বাঁচানোর ১০ উপায়, এই সহজ টোটকায় কমবে বাড়তি খরচ, হবে আর্থিক সাশ্রয়
রইল খরচ বাঁচানোর ১০ উপায়, এই সহজ টোটকায় কমবে বাড়তি খরচ, হবে আর্থিক সাশ্রয়
- FB
- TW
- Linkdin
হিসেব করে খরচ করুন। শপিং করতে সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু, হাতে টাকা এলেই প্রয়োজনের বাইরে একাধিক জিনিস কিনে, ঘরে জমা করলেন এমন করবেন না। হিসেব বহির্ভূত খরচের জন্যই টাকা শেষ হয়ে যায়। তাই এই অভ্যেস বদল করুন। যে মাসে যেটা প্রয়োজন, সেটাই কিনুন। এর বেশি কিনে, অযথা অর্থ খরচ করবেন না।
ভালো চাকরি করেও টাকা জমাতে পারেন না, মাসের অর্ধেক যেতে না যেতেই টাকা শেষ হয়ে যায়। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক প্ল্যান করে চলুন। মাসের শুরুতেই হিসেব করে নিন, কোন খাতে কত খরচ। আপনার ইএমআই, সরসার খরচ, সন্তানের খরচ কিংবা নিজের জন্য খরচ বরাদ্দ করে দেখুন কত টাকা থাকছে, তা মাসের শুরুতেই সেভিংক্স অ্যাকাউন্টে ফেলে দিন।
গ্রসারি কিনুন হিসেব করে। অনেক সময় এই খাতে বেশি খরচ হয়ে যায়। মাসের শুরুতে সরসার খরচের জন্য টাকা বরাদ্দ করুন। সেই অনুসারে, জিনিস কিনুন। আগের মাসের কিছু বেঁচে থাকলে তা আবার কিনে টাকা নষ্ট করবেন না। সঠিক প্ল্যান করে চললে খরচ অবশ্যই বাঁচবে।
ধূমপান করার অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করুন। ধূমপান ও মদ্যপান করতে গিয়ে প্রতি মাসে মোটা টাকা খরচ হয়। খরচ বাঁচাতে চাইল এই অভ্যেস বদল করুন। হিসেব করে দেখুন, এই খাতে প্রতি মাসে কত টাকা ব্যয় হয়। সেই খরচ কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বদল করুন। এতে টাকাও বাঁচতে সঙ্গে শরীরও ভালো থাকবে।
প্রতি সপ্তাহান্তে রেস্তোরাঁর প্ল্যান লেগেই থাকে। শহরের হয়তো নাম করা সব রেস্তোরাঁ আপনার ঘোরা। তা সত্ত্বেও প্রতি সপ্তাহে রেস্তোরাঁয় খেতে যান। হিসেব করে দেখেছেন এত বাড়তি কত খরচ হয়? খরচ বাঁচাতে চাইলে প্রতি সপ্তাহে রেস্তোরাঁয় যাওয়ার অভ্যেস বদল করুন। মাসে একদিন যান। কিংবা অনুষ্ঠানে যান। তেমন হলে, বাড়িতে খাবার আনিয়ে খান, এতে খরচ কমবে।
গাড়ি ভাড়ার জন্য অনেকেরই বাড়তি খরচ হয়। অফিস যেতে ক্যাবের খরচ, কোনও আত্মীয়ের বাড়ি যেতে গাড়ি ভাড়া করতে হচ্ছে। আবার নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই। যেখানেই যান, গাড়ি করে যান। হিসেব করে দেখুন এই অভ্যেসের জন্য বাড়তি কত খরচ হয়। এবার থেকে গাড়ি ভাড়া বাঁচানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন, প্রচুর বাড়তি খরচ কমবে।
প্রতি মাসে পার্লার খরচ লেগেই থাকে। পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল, স্পা, এমনকী নানা রকম ট্রিটমেন্ট করে থাকেন। এই সবের জন্য অনেকেই বাড়তি খরচ করেন। তাই বলে, সাজগোজ করবে না এমন নয়। তবে, প্রোডাক্ট কিনে, বাড়ি বসে এই সব জিনিস করলে খরচ অনেক কমবে। তাই এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা।
কোনও সপ্তাহে বন্ধুদের সঙ্গে আউটিং, কোনও সপ্তাহে অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে আউটিং কিংবা কোনও সপ্তাহে পারিবারিক নিমন্ত্রণ। এই সব করতে গিয়ে প্রতি মাসে কত খরচ হচ্ছে তা খেয়াল থাকে না। এবার থেকে টাকা বাঁচানা এই খাতে। আউটিং-এর প্ল্যান থাকলে মাসে একটা কিংবা ২ টো করুন। দেখবেন অনেক টাকা সাশ্রয় হবে।
নিজের কাজ নিজে করার অভ্যেস করুন। কারণ ছাড়া বাড়িতে ২-৩টে কাজের লোক রেখেছেন। তাদের মাস গেলে মোটা টাকা দিচ্ছে। এই করতে গিয়ে অনেক বাড়তি খরচ হয়ে যায়। তাই যেটা নিজে করতে পারেন, সেটার জন্য লোক রাখবেন না। সংসারের কাজ নিজের করলে একদিকে যেমন টাকা বাঁচবে, তেমনই মন ভালো থাকবে।
আয় বুঝে ব্যয় করুন। কারও সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গিয়ে মোটা টাকা খরচ করে ফেললেন এমন করবেন না। অথবা শখ পূরণ করতে গিয়ে মোটা টাকার লোন নেওয়া কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ হয়। প্রয়োজনে অপেক্ষা করুন। কারও সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে খরচ করবেন না। এতে পরে আপনিই সমস্যায় পড়বেন। তাই খরচ বাঁচাতে চাইলে সবার আগে মানসিকতার বদল করুন। হিসেব করে, প্রয়োজন বুঝে খরচ করুন। তাহলে দেখবেন কোনও সমস্যাই আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।