কেন ২২ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস, জেনে নিন দিনটির মাহাত্ম্য
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৭০ সালে প্রথমবার ২২ এপ্রিল আর্থ ডে বা ধরিত্রী দিবস হিসেবে পালিত হয়েছিল। তারপর থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে দিনটি পালিত হচ্ছে। ১৯৬৯ সালে সান ফ্রান্সিসকো-তে ইউনেসকো সম্মেলনে কর্মীরা পৃথিবীকে রক্ষার জন্য একটি দিন নির্দিষ্ট করেছিল।
১৯৭০ সালে ২১ মার্চ উত্তর গোলার্ধে বসন্তের প্রথম দিনে এই দিনটি উদযাপিত হয়েছিল। পরবর্তী কালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর গেলর্ড নেলসন ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল আর্থ ডে- এর প্রচলত ঘটে। সে বছর কয়েকজন শিক্ষার্থীর সহায়তায় প্রথম দিনটি পালিত হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে দিনটি।
জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমেরিকার প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে ছিলেন। সকলের উদ্দেশ্য ছিল একটাই, পৃথিবীতে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। সেই থেকে সূত্রপাত। তারপর থেকে প্রথম পালিত হচ্ছে দিনটি। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সচেতনতা শিবির গড়ে তোলা হয়। বার্তা দেওয়া হয় পরিবেশ রক্ষার।
প্রতি বছর ধরিত্রী দিবসে নির্দিষ্ট থিম থাকে। এবছরের থিম হল- invest In Our Planet। এই দিন বিভিন্ন ইভেন্ট, কর্মসূচি যেমন পালিত হয় তেমনই নানা রকম মিছিলে আয়োজন করা হয়। পরিবেশ রক্ষা করাটা আমাদের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য কতটা প্রয়োজন তারই বার্তা দেওয়া হয়ে থাকে।
গাছ কেটে ফেলা, দূষণ- সব একাধিক কারণে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আমাদের জীবনে এর প্রভাব পড়ছে। দেখা দিচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। জলবায়ুর পরিবর্তন গোটা বিশ্বকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরই।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদেরই। রক্ষা করতে হবে সবুজের। তবেই জলবায়ুতে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। তেমনই রক্ষা করতে হবে জল। দূষণের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার দায়ভার সাধারণেক কাঁধে। এই বার্তা দিতেই পালিত হচ্ছে আর্থ ডে।
পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা করা কতটা প্রয়োজন তারই বার্তা দেওয়া হয় এই বিশেষ দিনে। পরিবেশ রক্ষার জন্য নেওয়া হয় বিশেষ পদক্ষেপ। এই সচেতনতা বৃদ্ধিতেই এই দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রতি বছর ২২ এপ্রিল দিনটি এই কারণেই বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়।
আজ সকাল থেকে গুগলে মিলেছে আর্থ ডে-র ঝলক। এক সঙ্গে দুটি ছবি কোলাজ করে রয়েছে হোম পেজে। একটিতে রয়েছে ২০০০ সালের ছবি ও একটি ২০২০ সালের। ছবিটি কোনও স্যাটেলাইট থেকে তোলা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীরে একটি বিশেষ অংশের দৃশ্য। যা থেকে স্পষ্ট পৃথিবীর বরফ কতটা গলে গিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বরফ গলে যাচ্ছে, তা সকলেরই জানা। এবার তা প্রমাণ করার জন্য প্রকাশিত হল এমন ছবি।
প্রথম ডুডল তানজানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর চূড়ায় হিমবাহের রিট্রিটের বাস্তব চিত্র দেখা যাচ্ছে। ব্যবহৃত ছবিতে ১৯৮৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ছবি দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ডুডলে ২০০০ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যম্ত প্রতি ডিসেম্বর মাসের গ্রিনল্যান্ডের একটি স্থান্র ছবি দেখা যাচ্ছে। আর তৃতীয় ডুডলে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ছবি। যেখানে লিজার্ড দ্বীপের ছবি রয়েছে।
এই সব কয়টি ছবি জানান দিচ্ছে, কীভাবে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর পৃথিবীর এমন ক্ষতি করে চলেছি আমারাই। গাছ কেটে, জলের অপচয় করে প্রতি মুহূর্তে আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি। এমনকী, এমন বহু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, যার জন্য পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। তাই পৃথিবীকে রক্ষা করতে ও সুস্থ জীবন ফিরে পেতে শপথ নিন, পৃথিবীকে রক্ষা করার।