- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- বর্ষায় ত্বকের যত্ন নিন অ্যাভোকাডো তেলের সাহায্যে, রইল গুণের খোঁজ, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন
বর্ষায় ত্বকের যত্ন নিন অ্যাভোকাডো তেলের সাহায্যে, রইল গুণের খোঁজ, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন
নিষ্প্রাণ রুক্ষ্ম ত্বক সকলেরই বিরক্তির কারণ। দাগহীন, উজ্জ্বল, কোমল ত্বক পেতে চান সকলে। এই কারণে চলে জোড় কসরত। ত্বক উজ্জ্বল করতে ও যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সকলেই নানান পদ্ধতি মেনে চলেন। কেউ বাজার চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, কেউ মেনে চলেন ঘরোয়া টোটকা, তেমনই কেউ নিয়মিত পার্লার ট্রিটমেন্ট করান। এবার ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এতটি বিশেষ তেল। বর্ষা তো বটেই, সারা বছর ত্বকের যে সকল সমস্যা চলতে থাকে তার থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। ব্যবহার করতে পারেন অ্যাভোকাডো তেল। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মিলবে একাধিক উপকার। জেনে নিন ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন।
| Published : Aug 14 2022, 11:38 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যাভোকাডো-তে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ত্বক ও চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই তেলে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা ব্যবহারে ত্বক ও চুলে ময়েশ্চারের জোগান ঘটে। তেমনই ত্বকে ব্যবহারে দূর হয় ব্রণ, বলিরেখার মতো সমস্যা।
অ্যাভোকাডো তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এ, ডি ও ই। যা ত্বকের ক্ষত নিরাময় করে ও কোলাজেনের বিকাশে সাহায্য করে থাকে। এর ফলে ত্বক যেমন উজ্জ্বল হয় তেমনই তারুণ্য বজায় থাকে। তাই যাবা উজ্জ্বল ত্বক চান তারা ব্যবহার করতে পারেন অ্যাভোকাডো তেল।
ত্বকে ময়েশ্চরাইজারের জোগান ঘটায় অ্যাভোকাডো তেল। এতে আছে লিপিড, ভিটামিন এ, সি, ডি ও ই। আছে খনিজ উপাদান। যা ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে, ক্ষতিগ্রস্থ ও ত্বক ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই ত্বকে রুক্ষ ভাব দেখা গেলে ব্যবহার করুন অ্যাভোকাডো তেল। সারা বছর এই তেল ব্যবহার করা চলে।
অ্যাভোকাডো তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। তাই নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের প্রদাহ কমতে পারে। এতে আছে বি ১২। যা ত্বকে পুষ্টি জোগাবে। প্রতিদিন এই অ্যাভোকাডো তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। মিলবে উপকার। এই ভেষজ তেল ত্বক ও চুল উভয়ের জন্যই উপকারী।
সূর্যরশ্মির কারণে ত্বকের নানান ক্ষতি হয়। অ্যাভোকাডো তেল ইউভি রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই তেলে আছে পলিহাইড্রোক্সিলেটেড ফ্যাটি অ্যালকোহল। ইউভি রশ্মি থেকে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তার সমস্যা দূর করে। তাই রোদে পোড়া দাগ প্রশমিত করতে, পিগমেন্টেশন দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাভোকাডো তেল।
বলিরেখা দূর হবে অ্যাভোকাডো তেলের গুণে। এটি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটপি, ইউভি প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যা বার্ধক্য জনিত সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জাফরান ও অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহারে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয় না। এটি ত্বকের জন্য বেশ উপযুক্ত। যারা বলিরেখার সমস্যায় ভুগছেন তারা এই অ্যাভোকাডো তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমন্ড অয়েল, ভিটামিন ই তেল আর অ্যাভোকাডো তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। একটি পাত্রে সম পরিমাণ নিন। তা মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে মিলবে উপকার। ভালো উপকার পেতে দিনে দু বার পর্যন্ত ম্যাসাজ করতে পারেন।
অ্যাভোকাডো তেলের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রে অ্যাভোকাডো তেল নিন। এর সঙ্গে মেশান অ্যাভোকাডো, মেশাতে পারেন মধু। প্রথমে অ্যাভোকাডোর খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের সবুজ অংশ বের করে নিন। এর সঙ্গে মেশান অ্যাভোকাডো তেল ও মধু। ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। মিশ্রণ মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে মিলবে উপকার।
বলিরেখা দূর করতে অ্যাভোকাডো তেলের প্যাক বানাতে পারেন। একটি পাত্রে নারকেল তেল, ভিটামিন ই, সিয়া বাটার, অ্যাভোকাডো তেল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। মিলবে উপকার। প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাক। দূর হবে বলিরেখা।
স্নানের জলে অ্যাভোকাডো তেল মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন স্ননের জলে কয়েক ফোঁটা অ্যাভোকাডো তেল দিন। এই জলে স্নানে ত্বক হবে নরম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন ই, পটাসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ত্বক ও চুলের জন্য বেশ উপকারী।