- Home
- Lifestyle
- Parenting Tips
- বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গঠনে রইল ১০ উপায়, জেনে নিন কী করলে সে ঠিক পথে চালিত হবে
বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গঠনে রইল ১০ উপায়, জেনে নিন কী করলে সে ঠিক পথে চালিত হবে
বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত (Future) গড়তে কে না চায়। এই কারণে, অনেক সময় সাধ্যের বাইরে ঠিক ভালো স্কুলে ভর্তি করে বাচ্চাকে, নিজের শখ (Hobbies) ভুলে বাচ্চার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু, মাঝে মাঝে ছোট ছোট ভুলে বাচ্চা (Kids) ভুল পথে চালিত হয়। এবার থেকে মাথায় রাখুন এই ১০টি জিনিস। বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যত গড়তে রইল এই ১০ উপায়, জেনে নিন কী কী করলে সে সঠিক পথে চালিত হবে।
| Published : Mar 01 2022, 03:48 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
টিভি দেখার সময় নির্দিষ্ট করুন। অনেক বাচ্চাই সুযোগ পেলে টিভির সামনে বসে যায়। টিভি দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যেস আছে অনেকের। এমন অভ্যেস করা মোটেই উচিত নয়। অনেক বাচ্চা টিভি দেখলে চুপ করে থাকে। তাই তাকে শান্ত করতে টিভি চালিয়ে দেন মায়েরা। মায়েদের ভুলেই বাচ্চার এমন খারাপ অভ্যেস তৈরি হয়।
অনলাইন পড়াশোনার জন্য সারাক্ষণ বাচ্চাদের হাতে থাকে মোবাইল, ল্যাপটপ। সে সারাক্ষণ নেট ঘেঁটে চলেছে। এক্ষেত্রে, বাচ্চার ইন্টারনেট ঘাঁটার সময় নির্দিষ্ট করুন। সে ইন্টারনেটে কী দেখছে, তা খেয়াল রাখুন। ভুল সাইট সার্চ করলে বাচ্চারই ক্ষতি।
বাচ্চার নিজস্ব হবি বা শখ থাকা দরকার। বাচ্চার সেই শখকে গুরুত্ব দিন। সারা জীবন, শুধুমাত্র পড়াশোনার জগতে আটকে রাখবেন না। তার সৃজনশীল মানসিকতার বিকাশের সাহায্য করুন। এতে বাচ্চারই সুস্থ ভবিষ্যত গড়ে উঠবে।
সাবলম্বী হতে শেখান বাচ্চাকে। তার সব আপনি করে দেবেন না। তাকে সব রকম জিনিসের সঙ্গে অভ্যস্ত করান। এতে ভবিষ্যতে বাইরে পড়াশোনার জন্য গেলে কোনও রকম সমস্যা হবে না। বাচ্চাকে পড়াশোনার বাইরে সব রকম কাজের শিক্ষা দিন।
কোনও কাজে জোর করবেন না। তাকে স্বাধীনতা দিন, তার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। বাচ্চা যে বিষয় পড়াশোনা করতে চায়, কিংবা যে পেশায় যেতে চায়, তাতে সমর্থন জানান। পছন্দের বিষয় নিয়ে না পড়াশোনা করলে, ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে।
রোজ কার রুটিং-এ পড়াশোনার সঙ্গে খেলার সময় বরাদ্দ করুন। রোজ তাকে খেলতে নিয়ে যান। খেলাধুলো করলে যেমন এক্সারসাইজ হয়, তেমনই সম বয়সী বাচ্চার সঙ্গে মেলামেশা করলে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে। তাই বাচ্চাকে রোজ খেলতে নিয়ে যান।
প্রায় ২ বছর ধরে বাচ্চারা বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করেছে। ঘরের চারটি দেওয়াল, ল্যাপটপ ছিল তাদের সঙ্গী। এই কারণে অনেক বাচ্চার মধ্যে অসামাজিক আচরণ দেখা গিয়েছে। বাচ্চার মধ্যে এমন আচরণ দেখলে সতর্ক হন। তাকে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করান, ঘুরতে নিয়ে যান। সে কীভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করবে, তার শিক্ষা দিন। তা না হলে, এই সমস্যা বড় আকার নেবে।
বয়ঃসন্ধির সময় অনেক বাচ্চার ব্যবহারে নানান পরিবর্তন দেখা যায়। জেদ, রাগ, অভিমান বেশ হয় এই বয়সে। কারণে, অকারণে ঝগড়া, মারামারি করে। এমন সময় বাচ্চাকে বকাবকি বা মারধর করবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিন।
খারাপ বন্ধুর সঙ্গে মিশলে সে ভুল পথে যেতেই পারে। এই সঙ্গে দোষে অনেকে নেশা করে। তাই বাচ্চার কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে খেয়াল রাখবেন। সে ভুল পথে যাচ্ছে মনে হলে তাকে সতর্ক করুন। নেশা থেকে কী কী শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তা বলুন বাচ্চাকে।
হাতে টাকা দেওয়ার অভ্যেস (Habits) করবেন না। হাতে বেশি টাকা পেলে ভুল ক্ষেত্রে খরচ করতে পারে। তার যা দরকার সব কিনে দিন। তা প্রয়োজনের কথা মাথায় রাখুন। তা না হলে, সে খারাপ পথে চালিত হতে পারে।