ডান্স অব ডেমোক্র্যাসি - ১৬টি লোকসভা নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
| Published : Apr 28 2019, 05:19 PM IST / Updated: Apr 28 2019, 05:22 PM IST
ডান্স অব ডেমোক্র্যাসি - ১৬টি লোকসভা নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
116
প্রথম নির্বাচনে বোম্বে উত্তর-মধ্য কেন্দ্র থেকে লড়ে পরাজিত হন স্বাধীন ভারতের প্রখম আইনমন্ত্রী তথা সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকর।
216
এই নির্বাচনে লোকসভা ভোটের ইতিহাসে প্রথম বুথ দখলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারের বেগুসরাইয়ের মাতিহানি-তে।
316
১৯৬৪ সালে জওহরলালের মৃত্যু ঘটলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কিন্তু ১৯৬৬-তে তাঁরও মৃত্যু হয়। এরপর বাকি সময় প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলালেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
416
এই লোকসভা ভোটেই প্রথমবার অংশ নিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য। তার আগে অবধি ভারতের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরেও পৃথক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হত। ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রথমবার নির্বাচনে নেতৃত্ব দেন।
516
প্রথমবার ভারতে অন্তর্বর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কংগ্রেস (রিকুইজিশনিস্ট) দল গড়ে সরকার ভেঙে দিয়ে নির্বাচন লড়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। জাতীয় কংগ্রেস তখন মোরারজি দেশাই-এর নেতৃত্বে, কংগ্রেস (অর্গানাইজেশনাল) বা আদি কংগ্রেস নামে পরিচিত ছিল।
616
এই লোকসভা ভোটে স্বাদীনতার পর প্রথমবার ভারতের শাসন ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। ভারতীয় জনসংঘ, লোকদল, স্বতন্ত্র দলের মতো বেশ কয়েকটি বিরোধী দল এক সঙ্গে জনতা পার্টি জোট গড়েছিল। জোটের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই, পরে চৌধুরি চরণ সিং। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতেই ভরাডুবি হয় জাতীয় কংগ্রেসের। এমনকী রায়বেরিলিতে ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হন ৫৫ হাজারেরও বেশি ভোটে। আমেঠিতে হেরে যান তাঁর পুত্র তথা তখনকার দাপুটে কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় গান্ধীও।
716
জনতা পার্টি জোট সরকার গড়লেও বিভিন্ন দলের মত পার্থক্যে তিন ছর যেতে না যেতেই সেই সরকার ভেঙে যায়। এই ভোটে প্রথমবার হাত চিহ্ন নিয়ে নির্বাচনে লড়ার অধিকার পেয়েছিল কংগ্রেস। এর আগে পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রতীক ছিল জোড়া বলদ।
816
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর সহানুভূতির হাওয়ায় রেকর্ড আসন পায় কংগ্রেস। প্রথমবার কোনও আঞ্চলিক দল হিসেবে লোকসভায় প্রধান বিরোধী দল হয় টিডিপি।
916
ভোটদানের ন্যুনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হয়। জনতা দলের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ফ্রন্ট সরকার গড়ে। প্রধানমন্ত্রী হন ভিপি সিং। রাম মন্দির ইস্যুতে জোট ভেঙে গেলে চন্দ্র শেখর জনতা দল থেকে বেরিয়ে এসে কংগ্রেসের সমর্থনে মাত্র ৬৪ সাংসদ নিয়ে সরকার গড়েছিলেন, যা টিকেছিল কয়েক মাস।
1016
1116
একাদশ লোকসভাতেও ফল হয় ত্রিশঙ্কু। প্রথমে সরকার গড়েও ১২ দিনের মাথায় সংসদে সংখ্যাগরীষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেন বাজপেয়ী পরে কংগ্রেস সমর্থনে অকংগ্রেসী ও অবিজেপি দলগুলির জোটের প্রধানমন্ত্রী হন এইচ ডি দেবগৌড়া, পরে আই কে গুজরাল।
1216
এই বারেও একক সংখ্যা গরীষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ভোটপরবর্তী এনডিএ জোট গড়ে মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫৪টি। ২৭৩ ম্যাজিক সংখ্যা না হলেও বাজপেয়ীকে সরকার গড়তে ডেকেছিলেন রাষ্ট্রপতি আর কে নারায়ণন।
1316
জয়ললিতার এআইএডিএমকে এনডিএ সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে সরকার ভেঙে যায়। ভোটের পর টিডিপি, এনডিএ-কে সমর্থন করলে তাদের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৩। এই ভোটে ৭৩ শতাংশ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
1416
কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট পেয়েছিল ২১৫টি আসন। তাদের ৫৯ জন সাংসদ নিয়ে বাইরে থেকে সমর্থন দেয় বামফ্রন্ট।
1516
এই নির্বাচনের ঠিক আগে ইন্দো-মার্কিন পরমাণু চুক্তিকে ঘিরে মত-বিরোধ থেকে বামপন্থীরা ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে যায়। তারপরেও নির্বাচনে জিতে জওহরলাল নেহরুর পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাঁচ বছরের পুরো সময় পূর্ণ করার পর দ্বিতীয় বার পুনর্নির্বাচিত হন।প্রধা
1616
নরেন্দ্র মোদীর প্রতি মানুষের বিপুল সমর্থনের হাওয়ায় ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল হয় কংগ্রেসের। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার প্রয়োজনীয় ১০ শতাংশ আসনও জোটেনি তাদের।