রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন! প্রয়াত অরুণ জেটলি, ফিরে দেখা স্মৃতির পাতায়
রাজনীতির বর্ষীয়ান বর্ষীয়ান নেতা অরুণ জেটলির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশ। শনিবার সকালেই এইমস-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা বাজপেয়ী সরকার এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারে অর্থমন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার, কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রি এবং আইন ও বিচারবিভাগীয় দফতর সামলেছেন। আজ তা ইতিহাস। ফিরে দেখা তাঁর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়।
111

পাঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল অরুণ জেটলির। তাঁর বাবার নাম মহারাজ কিষেন জেটলি এবং মায়ের নাম রত্নপ্রভা জেটলি। পড়াশোনা নয়া দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে, কেবলমাত্র পড়াশোনাই নয়, পাশাপাশি পাঠক্রম বহির্ভুত কাজকর্মেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন তিনি।
211
অরুণ জেটলি কেরিয়ার শুরু করেন একজন আইনজীবি হিসাবে। কিন্তু পরে দায়িত্ববান মন্ত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় তিনি বরাবরই প্রধানমন্ত্রীর এক বিশেষ সহযোগী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন।
311
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অরুণ জেটলি। শুধু তাই নয় একজন আইনজীবি হিসাবেও তিনি বহু নীতির প্রচলন করেছিলেন। মন্ত্রী হিসাবে কাজ করার সময়ে তিনি বিভিন্ন ইনফাস্ট্রাকচর প্রজেক্ট, কর এবং বিনিয়োগের বিষয়ে অনেক দ্রুততার সঙ্গে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
411
১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এনডিএ সরকারের আমলে তিনি কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প এবং আইনি ও বিচারিভাগীয় বিষয়ক মন্ত্রীর পদে নিজের দায়ভার সামলেছেন।
511
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে অরুণ জেটলি বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে নিযুক্ত ছিলেন। তবে আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর সেই পদ থেকে সরে আসেন জেটলি।
611
২০০২ এবং ২০০৪ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের ভুমিকা পালন করেছিলেন অরুণ জেটলি। পরে ২০০৯ সালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
711
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন তিনি আটটি বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। যেখানে বিজেপি জয়যুক্ত হয়েছিল।
811
১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালীন ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন জেটলি। সেই সময়ে প্রথমে তাঁকে আটক করে আম্বালা জেলে রাখা হয়েছিল পরে দিল্লির তিহার জেলে আটকে রাখা হয়।
911
ভাষার ওপর অসাধারণ দখল ছিল অরুণ জেটলির, সেইসঙ্গে কথোপকথনেও দৃঢ় প্রত্যয় এবং সঠিক স্থানে সঠিক শব্দ চয়নের অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি।
1011
পেপসিকো এবং কোকাকোলার মতো কোম্পানির একাধিক আইনি বিষয়ে আদালতে উত্থাপন করেছিলেন জেটলি।
1111
১৯৮২ সালের ২৪ মে তারিখে সঙ্গীতা ডোগরার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল অরুণ জেটলি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম রোহন জেটলি এবং সোনালি জেটলি।
Latest Videos