নাবালককে অবৈধভাবে বিয়ে করে যৌন হেনস্থা, গ্রেফতার ১৯ বছরের তরুণী
- FB
- TW
- Linkdin
১৯ বছরের এক তরুণী বিয়ে করেছিল তার থেকে ২ বছরের ছোট একট কিশোরকে। কিশোর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। চলতি বছর দোশরা অগাস্ট পালানিতে তারা বিয়ে করেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে তরুণীর সঙ্গে কিশোরের বন্ধুত্ব ছিল। কারণ তাঁরা দুজনেই একই পাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘ দিনই তারা একে অপরকে চিনত। তাঁদের ম্ধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
২ অগাস্ট বিয়ের পরের দিনই কিশোর তরুণীর বিরুদ্ধে কোয়েম্বাটোর ফেরার সময় সেমেডুরেরর কাথা অভিযোগ দায়ের করে। সেই সময়ই কিশোর জানিয়েছিল তাকে তারা বাবা মায়ের থেকে আলাদা করে রেখেছিল তরুণী।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন তরুণী আর কিশোর একে অপরকে দীর্ঘ দিন ধরেই চিনত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কবে তারা বিয়ে করেছে তা তাদের জানা নেই।
একটি সূত্র বলছে গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কুন্তু তারা ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছিল কিন্তু মহিলা তারা অভিভাবকদের অজান্তেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার মহিলা ছেলেটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে অবৈধভাবে বিয়ে করে। তারপর একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই ছিল। সেই বাড়িতেই ছেলেটির ওপর যৌন নির্যাতন করেছিল বলে অভিযোগ।
ছেলেটির বাবা মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বাড়িতেও হানা দেয়। সেই সময় মহিলা কিশোরকে নিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। নাবালককে তারা বাবা ও মায়ের কাছে ফেরত পাঠান হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিয়ের পর থেকে তরুণী কিশোরকে তারা বাবা আর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়নি। সেই সময় ছেলেটির পেটে ব্যাথা হওয়ায় চিকিৎসার নাম করে পোল্লাচিতে নিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে মহিলার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ছেলেটি নাবালক বলে পকসো ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীকে।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই মামলায় বেশ কিছু বৈপরিত্য রয়েছে। এক আইনজীবী জানিয়েছেন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ নম্বর ধারা তখনই প্রয়োগ করা যায় যখন একজন মহিলা অপরহৃত হয়। একই ভাবে পসকো ধারাও মহিলাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য নয়।