- Home
- Lifestyle
- Relationship
- এখন আর বাইরে নয়, ভার্চুয়াল প্রেমেই মন প্রেমিক-প্রেমিকাদের, করোনা-মহামারিকালে বদলে গেছে প্রেমের সংজ্ঞা
এখন আর বাইরে নয়, ভার্চুয়াল প্রেমেই মন প্রেমিক-প্রেমিকাদের, করোনা-মহামারিকালে বদলে গেছে প্রেমের সংজ্ঞা
গত দেড় বছরেও বেশি সময় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্ব। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির মত ভারতের জনসমাজে প্রভাব পড়েছে মহামারির। এই অবস্থায় ভারতে অনেকটাই বদলে গেছে প্রেমের সজ্ঞা। বদলে যৌনতার সংজ্ঞা। অনেকেই ভার্চুয়াল প্রমের দিকে ঝুঁকছেন। চাই চাহিদা বাড়ছে ডেটিং অ্যাপের।
| Published : Sep 05 2021, 03:45 PM IST / Updated: Sep 08 2021, 09:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের এই মহামারিকালে অনলাইন ডেটিংএর প্রবনণতা অনেকটাই বেড়েছ। দেশের বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে সঙ্গী খোঁজার দিকে ঝুঁকছে। ১৮-২৫ বছর বসয়ীরা ডেটিং অ্যাপগুলির ব্যবহারকারী হলেও ৪০ বছরের মহিলা ও পুরুষেরও কাছেও ডেটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে নরী-পুরুষ সকলেই নিজের মনের মানুষকে খুঁজে নিতে চায়। এটা আগেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু করোনাকালে এজাতীয় ডেটিং অ্যাপগুলির ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। তবে এখনও এমন মানুষ রয়েছেন যাঁরা ভার্চুয়াল প্রেমের প্রতি ঠিক ততটা আস্থাশীল হতে পারছেন না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এজাতীয় সমস্যা উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে পারবে বলেও মনে করছে ডেটিং অ্যাপের অধিকর্তারা।
মজার বিষয় হলেও যখন এখনও এক শ্রেণীর মানুষ ডেটিং অ্যাপের ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না, তখন অন্য একদল মানুষ ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে জীবন সঙ্গী খুঁজতে ব্যস্ত নয়। বরং তারা জোর দিচ্ছে একটি রোমান্টিক মানুষ খোঁজার দিকে। যার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যায়। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষই রোমান্টিক সঙ্গী খোঁজেন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে।
মহামারিকালে অনলাইন শপিং-এর মতই অনলাইন ডেটিংএর চাহিদা বেড়েছে। ২হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ মানুষই সামনা সামনি দেখা করার আগে অনলাইন ডেটিং-এর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সবকিছু জেনে নিচ্ছেন। অনলাইন ডেটিং সঙ্গী পছন্দ হলে তবেই সামনাসামনি দেখা করার কথা ভাবছেন।
নতুন প্রজন্মের ৬৮ শতাংশই মনে করে অনলাইন ডেটিং অনেক সহজ করে দিয়েছে সম্পর্ক তৈরিকে। আবার ৬৭ শতাংশ মানুষই মনে করে অনলাইন ডেটিং একসঙ্গে একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে নিজের মনের মানুষকে খুঁজে বার করার স্বাধীনতা রয়েছে। তবে ৬০ শতাংশই মনে করে এতে সময় অনেকটাই বেঁচে যায়।
মহামারিকালে বন্ধ রয়েছে বার, রেস্তোঁরা। বন্ধ রয়েছে শপিংমলসহ পার্কগুলিও। যাতায়াতেরও তীব্র সমস্যা রয়েছে। তাই করোনাকালে অনলাইন ডেটিংই ভরসা জেনারেশন Z এর কাছে। আর তারা সেটা চুটিয়ে উপভোগ করছে বলেও জানিয়েছে ডেটিং অ্যাপ সংস্থাগুলি। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কখনও কখনও জীবন সঙ্গীও খুঁজে নিচ্ছে নতুন প্রজন্ম। তবে সম্পর্কের পরিণতির দিকে অনেকেই তেমন আগ্রহী নয়।
ডেটিং অ্যাপ নট সো অ্যারেঞ্জ, বাম্বেল ইন্ডিয়া কমিউনিকেশন এজাতীয় ডেটিং অ্যাপের কর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন আধুনিক প্রজন্ম ডেটিং অ্যাপের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল নিজের পছন্দের সঙ্গীকে খুঁজে নেওয়ার জন্য। তবে তারা কখনই তাড়াহুড়ো করে না। খুব ধীরে ধীরে পদক্ষেপ করে। অ্যাপের কর্তারা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা খুব একটা কথা বলে না তাদের কাছে ডেটিং অ্যাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার এই জাতীয় অ্যাপের মাধ্যমে একা মানুষও নিজের জীবন সঙ্গী খুঁজে নিতে পারে।
নট শো অ্যারেঞ্জের এক জানিয়েছেন তাদের এমন অনেক গ্রাহক রয়েছে, যারা জীবন সঙ্গী খোঁজার থেকেই বেশি জোর দিচ্ছে একাকিত্ব কাটানোর ওপর। বিবাহের জন্য পাত্র বা পাত্রীর সন্ধানের থেকেও তাদের কাছে জরুরি পছন্দের একটি মানুষের সন্ধান করা। এজাতীয় অ্যাপগুলিতে ভিডিও চ্যাটেরও ব্য়বস্থা করা হয়েছে।
ডেটিং অ্যাপের কর্তারা জানিয়েছে, এখন মহামারির এই দিনগুলিতে প্রেমের প্রক্রিয়াও বদলে গেছে। এখন তা অনেকটাই ধীর। দিনের পর দিন বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একজন অন্য জনের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাতে চাইছে। ডেটিং অ্যাপগুলির দাবি মহামারির এই সময় তারা মানুষের একাকিত্বও দূর করছে।
বাম্বেল ইন্ডিয়া জানিয়েছে মহামারির এই সময় তাদের ভিডিও কল বা ভয়েস চ্যাটের ব্যবহার আগের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এখন বেশি সময় ধরে চ্যাট করছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪০ শতাংশ অবিবাহিত ভারতীয় ভার্চুয়াল ডেটিং পছন্দ করে। তারা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরাপদ বোধ করে। তবে এটাও দেখা গেছে মানুষ সর্বদাই কাছের মানুষের সঙ্গেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। যার মাহামারিকালে ২৪ শতাংশ বেড়েছে।