- Home
- Lifestyle
- Relationship
- পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপণ এবার ভুলে যান, যৌনতার চরম সুখে লকডাউনে সুপার-ডুপার হিট 'জেনিটাল ম্যাচমেকিং'
পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপণ এবার ভুলে যান, যৌনতার চরম সুখে লকডাউনে সুপার-ডুপার হিট 'জেনিটাল ম্যাচমেকিং'
সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতার আবেশে কে না বুঁদ হতে চায়। সমীক্ষা বলছে অধিকাংশ দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার পিছনে কাজ করে যৌনসুখের অতৃপ্তি। বিশেষ করে দীর্ঘদিনের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে যার সবচেয়ে বেশি উদাহরণ পাওয়া যায়। কিন্তু, সম্পর্কের ভাঙা-গড়ায় যৌনসুখের মাত্রাকে যদি কন্ট্রোল করে বাড়ানোর ক্ষমতা পাওয়া যায় তাহলে! আর সেই কারণে এখন চড়চড় করে বাড়ছে জেনিটাল ম্যাচমেকিং-এর প্রবণতা। যেখানে যৌনসুখের পারফেক্ট অর্গাজমে যৌনাঙ্গের পারফেক্ট ফিটিং চাইছেন দম্পতিদের দল।
- FB
- TW
- Linkdin
কী এই জেনিটাল ম্যাচমেকিং- গোদা বাংলায় যৌনতার বাজারে এক ধরনের নতুন ট্রেন্ড। যেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পারফেক্ট ফিটিং দেওয়া হয় যৌনাঙ্গকে।
এর মূল লক্ষ্য- অর্গাজম বা যৌনতার চরম মুহূর্তের উপভোগকে বাড়তি মাত্রা দেওয়া। আর সেই কারণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জেনিটাল ম্যাচমেকিং।
কীভাবে যৌনতার চরম মুহূর্তকে বাড়ানো হয়- মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনিকে টাইট-ফিট করানো হয় এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের আকার এবং দৈর্ঘ্য-তে বৃদ্ধি ঘটানো হচ্ছে।
পারফেক্ট অর্গাজম অনেকটাই নির্ভর করে যোনির আঁটোসাঁটো ভাব এবং পুরুষাঙ্গের আদর্শ মাপ এবং আকৃতির উপরে। বিশ্বের কিছু দম্পতি মনে করছেন সম্পর্কের রসায়নে জেনিটাল ম্যাচমেকিং-কে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। অথচ, নারী-পুরুষের সম্পর্কের রসায়নের ভিতটা একটা সময়ে যৌনতার সুখানন্দের উপরেই বহুলাংশে নির্ভর করে। তাই, নারী ও পুরুষের যোনাঙ্গেরও যথার্থ ম্যাচ-মেকিং হওয়াটা দরকার বলেই মনে করছেন এঁরা।
মূলত আমেরিকা ও ব্রিটেনে এবং ইউরোপের বেশকিছু দেশে জেনিটাল ম্যাচমেকিং এই মুহূর্তে একটা চালু ট্রেন্ড। এই সব দেশের যৌনবিশেষজ্ঞদের মতে, জেনিটাল ম্যাচমেকিং-কে অবশ্য চালু ট্রেন্ডে পরিণত করেছে লকডাউন। কারণ, অধিকাংশ দম্পতি এখন দিন-রাতের বেশিরভাগ সময়টা একসঙ্গে কাটাচ্ছেন। আর যৌনতার সুখে এরা উপলদ্ধি করছেন নিত্যনতুন বিষয়। আর তাঁদের সেই বোধ এবং উপলদ্ধি প্রয়োজনিয়তা তৈরি করেছে জেনিটাল ম্যাচমেকিং-এর।
আমেরিকা ও ব্রিটেনের যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিংসকদের মতে, দাম্পত্য যত পুরনো হতে থাকে ততই যৌনতার সুখে নানা ধরনের অতৃপ্তি তৈরি হতে থাকে। একদিকে যেমন একই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনতার খেলায় সুখ-কে অনুভব করে যাওয়াটা মানসিকভাবে একটা একঘেয়েমি তৈরি করে তেমনি, একজন মহিলার ক্ষেত্রে বারবার যৌনতায় যোনির আঁটাসাঁটো ভাবটাও কমতে থাকে। বিশেষ করে, আমেরিকা, ব্রিটেনে এবং ইউরোপের বহু দেশেই গর্ভবতী মহিলারা ন্যাচরাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে থাকেন। এতে যোনির ঢিলে-ঢোলা ভাবটা আরও বেড়ে যায়। ফলে, ওই মহিলা যখন তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতার খেলায় মেতে ওঠেন তখন তাদের মধ্যে অর্গাজম-এর চরম মুহূর্তকে উপভোগ করাটা কঠিন হয়ে যায়।
যৌন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসরা আরও জানিয়েছেন যে, পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেকেরই বয়সের সঙ্গে যৌনাঙ্গের কঠোরতা এবং পেনিট্রেশনের প্রবণতা কমতে থাকে। যদি কারোর পুরুষাঙ্গের আকার এবং আকৃতি-র সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
এই বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে, যে সব পুরুষরা নিয়মিত হস্তমৈথুন করে থাকে, তারা নারী-পুরুষের মিলনে অনেকসময় মজা কম উপভোগ করেন। কারণ, তারা হস্তমৈথুনে আঙুলকে নিজের মতো করে টাইট গ্রিপ করে নেয়। কিন্তু, সেই পুরুষ যদি কোনও নারীর সঙ্গে সম্ভোগে রত হয় তাহলে সেই আঙুলের গ্রিপের মতো মজা নাও পেতে পারে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে যোনীর আঁটাসাঁটো ভাবের উপরে।
এই সব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এসে গিয়েছে জেনিটাল ম্যাচমেকিং। যেখানে মূল লক্ষ্য হল যোনি এবং পুরুষাঙ্গের মধ্যে সংযোগস্থাপনকে একটা পারফেক্ট ফিট দেওয়া। আর জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে কসমিক সার্জারির।
জেনিটাল ম্যাচমেকিং-এ যোনির আঁটাসাঁটো ভাব-কে ফিরিয়ে আনতে যে অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে বেশি সাহায্য নেওয়া হচ্ছে তার নাম ল্যাবিয়াপ্লাস্টি। চিকিৎসকদের মতে এর লক্ষ্য হল যোনির ল্যাক্সিটি বা ঢিলেঢোলাভাবকে নিয়ন্ত্রণ করা। এর ফলে সম্ভোগের সময়ে পুরুষাঙ্গ যোনি-তে একটা পারফেক্ট ফিটিং পায়।
অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যোনি-র কসমিক সার্জারিতেও আঁটোসাঁটো ভাবটা ফিরছে না। সেক্ষেত্রে তখন পুরুষসঙ্গীর যৌনাঙ্গের স্ফীতি ঘটানো হয়। এর জন্য টপ-আপ বলে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।
এই টপ-আপ প্রক্রিয়ায় পুরুষাঙ্গেও একধরনের ল্যাবিয়াপ্লাস্টি করা হয় যাতে পুরুষাঙ্গের আকার বাড়ে এবং ডিপ পেনিট্রেশন সম্ভব হয়।
চিকিৎসকদের মতে লকডাউনের সময় জেনিটাল ম্যাচমেকিং নিয়ে জিজ্ঞাস্যের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষ করে আমেরিকায় মধ্য-বয়সী দম্পতিদের মধ্যে এই নিয়ে ৫৬ শতাংশ জিজ্ঞাস্যের মাত্রা রেকর্ড করা গিয়েছে।
তবে, জেনিটাল ম্যাচমেকিং যৌন সম্ভোগের ক্ষেত্রে আদৌ কতটা সহায়ক তা নিয়ে এইসব দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে বহু প্রশ্ন রয়েছে। ভারতবর্ষেও জেনিটাল ম্যাচমেকিং কতটা সহায়ক হবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
কারণ, ভারতবর্ষে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সিজারিয়ান ডেলিভারির সংখ্যা। সাধারণত গ্রামাঞ্চলেই এখন ন্যাচারাল ডেলিভারি লক্ষ্য করা যায়। জেনিটাল ম্যাচমেকিং সম্পূর্ণভাবে একটা শহুরে ট্রেন্ড, ফলে ভারতে জেনিটাল ম্যাচমেকিং-এর সদর্থকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। সন্দেহ নেই, সম্ভোগ সুখের অতিরিক্ত মাত্রার খোঁজে বর্তমানের এই চালু ট্রেন্ডে এই দেশে অনেক দম্পতি-ই গা-ভাসানোর সাহস দেখাতে পারেন।