- Home
- Lifestyle
- Relationship
- সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে দাম্পত্য সুখ? বিয়ের পর থেকে এই কয়টি ভুল করবেন না
সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে দাম্পত্য সুখ? বিয়ের পর থেকে এই কয়টি ভুল করবেন না
- FB
- TW
- Linkdin
দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর ও সুখের হোক তা সকলের কাম্য। তবে, সম্পর্ক ভালো রাখার দায়ভার নিতে হবে আপনাকেই। সম্পর্কের প্রথম থেকে কয়টি জিনিস খেয়াল রাখুন। পরিবারের সকলকে নিশ্চয়ই সময় দেবেন, তবে দাম্পত্য সম্পর্কে উপেক্ষা করবেন না। সব কিছু ভালো ভাবে ব্যালেন্স করতে পারলে, তবেই সম্পর্ক সুন্দর হবে।
বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার পর অনেকের সম্পর্কের রসায়ন বদল ঘটে। দুজনের জীবনের সকল গুরুত্ব পরিবর্তন হয়। প্রথম দিকটা ব্যস্তরা মধ্যে কাটে কিন্তু এর খারাপ প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। অনেক সময় বাচ্চাকে সময় দিতে গিয়ে অনেক দম্পতিরাই নিজেদের কথা ভাবতে ভুলে যান। যার জন্য সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
এবার থেকে মেনে চলুন কয়টি জিনিস। প্রথমত, বাচ্চার ঘর আলাদা করুন। বাচ্চা ছোট থাকলে, তাকে তো সঙ্গে নিয়ে ঘুমাবেন তা ঠিক। কিন্তু, বাচ্চা বড় হতে শুরু করলে তার জন্য আলাদা ঘর বরাদ্দ করুন। দুজনের মাঝে সব সময় বাচ্চা থাকলে, নিজেদের সময় পাবেন না। তাই সব কয়টি সম্পর্ক ভালো ভাবে ব্যালেন্স করতে হবে।
আজকাল পরিবার বলতে মা, বাবা ও ছেলে। ফলে বিয়ের পর মেয়েদের জীবন কাটে শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে। এমন ছোট পরিবারে প্রাইভেসির অভাব দেখা যায়। হয়তো স্বামীর সঙ্গে কোনও কথা বলছেন, মাঝে শাশুড়ি এসে মন্তব্য করল। কিন্তু, একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পেলেন না। এক্ষেত্রে, প্রথম থেকে দরজা বন্ধ করে রাখা অভ্যেস করুন।
পরিবার বলতে স্বামী, শ্বশুর আর শাশুড়ি। তাই যেখানেই যাবেন সঙ্গে করে শ্বশুর আর শাশুড়িকে নিয়ে যেতে হবে। এমন সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এতে প্রথমে সকলে সব মেনে নিলেও পরে এটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রথম থেকে সব ব্যালেন্স করুন। নিশ্চয়ই তাদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন কিন্তু সব সময় নয়।
আজকাল অধিকাংশ পরিবারে স্বামী স্ত্রী দুজনেই কর্মরত। ফলে, অফিস সামলে তেমন সময় হয় না। কিন্তু, সপ্তাহান্ত রাখুন শুধু নিজেদের জন্য। রোজ বাইরে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘরে সময় কাটান। এক সঙ্গে সিনেমা দেখতে পারেন। বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নানান সিনেমা রিলিজ করছে। তাছাড়া, এক সঙ্গে গল্প করুন। সম্পর্ক সুন্দর করতে সময় দেওয়া সবার আগে দরকার।
শাশুড়ি হয়তো পছন্দ করে না আপনি ও আপনার স্বামী দুজনে কোথাও যান। তিনি স্বার্থপরের মতো সব সময় আপনাদের মাঝে ঢুকতে চান। আর জোর করে কিছু করলে পরে অশান্তি করেন। কিন্তু, অশান্তির ভয়ে নিজেদের সময় নষ্ট করবেন না। কেউ অশান্তি করবে বলে নিজেদের সুখ বিসর্জন দেওয়ার মানে নেই। এমন ত্যাগ করতে করতে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। নিজেদের আনন্দটা করে নিন। পরে নয় অশান্তির মোকাবিলা করলেন।
দাম্পত্য সম্পর্কে শারীরিক মিলনের একটি গুরুত্ব আছে। সেই শারীরিক মিলনের অভাবে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। তাই যৌন চাহিদারে গুরুত্ব দিন। বিয়ের প্রথম দিকে এই সম্পর্ক ঠিক থাকলেও, সময়ের সঙ্গে অনেকেই সম্পর্ক থেকে গুরুত্ব হারায়। তাই এবার থেকে এই ভুল করবেন না।
শারীরিক চাহিদার কথা বলা বা যৌনতা শুরু করার দায়িত্ব একজনের নয়। এই কথা সব সময় মাথায় রাখুন। অধিকাংশ সম্পর্ক ভাঙে এই ভুল বোঝাবুঝি থেকে। দুজনের জীবনে সমানভাবে গুরুত্ব পাক যৌনতা। দুজনেই এই প্রসঙ্গে একে অন্যের চাহিদা ও মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করুন। তা না হলে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
বাচ্চাকে সব সময় নিজেদের মাঝে ঢুকতে দেবেন না। নিজেদের ঝগড়া বাচ্চার সামনে করবেন না। এতে বাচ্চার মনে যেমন খারাপ প্রভাব পড়ে, তেমনই আপনাদের সম্পর্কও নষ্ট হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে গোপনীয়তা বজায় রাখুন। তা না হলে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এমনকী, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।