শুধু সোনা জয় নয়, আরও অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন 'সোনার মেয়ে' অবনী, জেনে নিন আপনিও
- FB
- TW
- Linkdin
মাত্র ১১ বছর বয়সেই ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন অবনী। তবে প্রতীবন্ধকতাকে কোনও দিনই বাঁধা মনে করেননি অবনী। স্পোর্টসকেই নিজের কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
শুটিংকেই নিজের ধ্যান জ্ঞান বলে মেনে নেন তিনি। খুব কম বয়সেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন অবনী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য থাকলেও, প্যারালিম্পিক্সে পদক জয় ছিব অবনীর স্বপ্ন।
এবার প্রথমবার প্যারালিম্পিক্সে অংশ গ্রহণ করেন রাজস্থানের অবনী। আর প্রথমবারেই সোনা জয় করে নজির গড়লেন তিনি। ফাইনালে অবনী লেখারার স্কোর ২৪৯.৬।
সোনা জয়ের পর শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'অসাধারণ খেলা। আমাদের সকলের হৃদয় জিতে নেওয়ার জন্য অসংখ্য অভিনন্দন অবনী লেখারা। যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবেই সোনা জিতে নিয়েছেন আপনি।দেশের খেলাধুলার জন্য এটি খুবই গর্বের মুহূর্ত। ভবিষ্যতের জন্য তোমায় অনেক শুভেচ্ছা।'
শুধু জেতাই নয়, ইতিহাস গড়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শ্যুটিং এসএইচ ওয়ান-এ সোনা জিতলেন অবনী। তাঁর এই কৃতিত্ব মহিলাদের এয়ার রাইফেল শ্যুটিংয়ের ব়্যাঙ্ক ট্যু-তে বিশ্ব রেকর্ডও বটে। কারণ ২৪৯.৬ পয়েন্ট পেয়ে সোনা জিতলেন লেখারা। যা রেকর্ড প্যারালিম্পিক্সে।
প্যারালিম্পিক্সেক প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে সোনার পদক জিতলেন অবনী। শুধু প্যারালিম্পিক্সে নয়, অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক্স মিলিয়ে প্রথম মহিলা হিসেবে গোল্ড পেলেন অবনী।
এটিই ছিল অবনী প্রথম প্যারালিম্পিক্স। মাত্র ১৯ বছর বয়সে অংশ নেন রাজস্থানের মেয়ে। এত কম বয়সে এর আগে কোনও ভারতীয় অলিম্পিক বা প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতলেন।
প্যারালিম্পিক্সে অবনীর হাত ধরে পঞ্চম সোনা এল ভারতে। এর আগে মুরলিকান্ত পেটকার (সাঁতার, ১৯৭২), দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া (জ্যাভলিন, ২০০৪, ২০১৬), থঙ্গভেলু মারিয়াপ্পান (হাই জাম্প, ২০১৬) সোনা জিতেছেন।
সব মিলিয়ে অলিম্পিক্স বা প্যারালিম্পিক্স স্তরে ব্যক্তিগত বিভাগে এটি ভারতের সপ্তম সোনা। প্যারালিম্পিক্সে পাঁচটি সোনা ছাড়াও ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সে অভিনব বিন্দ্রা শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন। এ বারের অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়া জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন।
অবনী সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। শুধু নিজের নয়, ১৩০ কোটি দেশবাসীর সোনার স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। দেশ ফিরল রাজকীয় সংবর্ধনা অপক্ষা করছে অবনী সহ সকল পদক জয়ীদের জন্য।