- Home
- World News
- International News
- করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আবারও তৈরি হল আশঙ্কা, মাঝপথেই থামান হল পরীক্ষা
করোনার প্রতিষেধক নিয়ে আবারও তৈরি হল আশঙ্কা, মাঝপথেই থামান হল পরীক্ষা
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে আবারও আশঙ্কার কালো মেঘ। আপাতত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ রেখেছে প্রতিষেধক আবিষ্কারক সংস্থা জনসন অ্য়ান্ড জনসন। প্রতিষেধক প্রয়োগের পর এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান হয়েছে সংস্থার তরফে জানান হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রতিষেধক প্রয়োগের পরই এক স্বেচ্ছাসেবী অপ্রত্যাশিতভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। আর সেই স্বেচ্ছাসেবীর অসুস্থতার কারণেই প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্থগিত রাখা হয়েছে। জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বিকাশ করছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থাটি। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল। আর সেই সময়ই সামনে আসে এই বিপত্তি। তবে অসুস্থ ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এজাতীয় ঘটনা ঘটবে। এটা খুবই প্রত্যাশিত। কী কারণে এই অসুস্থতা তাও খতিয়ে দেখা হবে। এখান থেকে আরও শিক্ষা নিয়ে আগামী পদক্ষেপ করা হবে বলেও সংস্থার পক্ষ তেকে জানান হয়েছে।
প্রতিষেধক প্রয়োগের কারণেই অসুস্থতা কীনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। সোমবার গভীর রাতে একটি বিবৃতি জারি করে সংস্থাটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে।
তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাচ্ছিল এই সংস্থটি। ২০০টিও বেশি হাসপাতালে ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিল। সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছিল তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পেরুসহ একাধিক দেশেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছিল।
সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাস্ট্রোজেনেকা আর অক্সফোর্ডের বিকাশ করা প্রতিষেধক এমনই ধাক্কা খেয়েছিল। এক স্বেচ্ছালসেবী অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয়েছিল তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। কিন্তু সোমবার ব্রিটেন প্রশাসন তদন্ত শেষ করার পর জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিষেধক সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনকা। বিট্রেন প্রশাসন জানিয়েছে থাইল্যান্ডেও তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অ্যাস্ট্রোজেনকার বিকাশ করা প্রতিষেধকের দিতে তাকিয়ে রয়েছে। এক লক্ষ ডোসের জন্য ইতিমধ্যে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলারও দেওয়া হয়েছে।