- Home
- World News
- International News
- তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে - কাবুল বিমানবন্দরে এই কাজ করতে বাধ্য হলেন শত শত মহিলা, দেখুন
তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে - কাবুল বিমানবন্দরে এই কাজ করতে বাধ্য হলেন শত শত মহিলা, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
তালিবানি শাসনের বিভিন্নভাবে লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার। তবে বিধিনিষেধের শিকল সবথেকে বেশি বেঁধে রাখে মহিলাদেরই। আর তাই তালিবানদের হাত থেকে মহিলাদের বাঁচাতে, বহু আফগান নারীকেই তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, তালিবানিস্তান থেকে মেয়েকে অনেক দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া।
যে সকল আফগান নাগরিক মার্কিন মিত্র বলে পরিচিত, তাদেরকেই আমেরিকা তাদের দেশে স্থানান্তরিত হওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাই গত কয়েকদিনে এই ধরণের পুরুষের দারুণ চাহিদা বেড়েছে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় করে মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আফগান বাবারা। গত কয়েকদিনে বহু আফগান মহিলা এই ধরণের পুরুষদের বিয়ে করেছেন কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে, যাতে তাঁর স্ত্রী হিসাবে সেও বাইরে কোথাও চলে য়েতে পরে।
শুধু তাই নয়, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য আমেরিকায় শরণার্থি হওয়ার যোগ্য বহু পুরুষকে মেয়েদের বাবারা অর্থও দিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষটি বিয়ে করতে রাজি না হলে, তার মেয়েকে মিথ্যা বউ সাজিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্যও অর্থ দিয়েছে আফগান পরিবারগুলি। অনেক ক্ষেত্রে মহিলারা নিজেরাই এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্য়েই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এক আফগান শরণার্থী শিবিরে এইভাবে পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজন আফগান মহিলার খোঁজ মিলেছে। কাবুল তালিবানদের দখলে চলে যাওয়ার পরই তাদের পরিবার তালিবানদের হাতে ঘরের মেয়েদের চরম নিপীড়নের আশঙ্কা করেছিল। আর তার থেকেই এই মরিয়া পদক্ষেপ নিয়েছে, বলে জানিয়েছে তারা।
তবে, এই প্রবণতায় এক অন্য বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করচেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক আশঙ্কা করছে এইভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই আফগান মহিলারা মানব পাচারের শিকার হবেন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় মার্কিন বিদেশ দফতর এই এই ধরনের আফগান মহিলাদের দ্রুত চিহ্নিত করার কথা ভাবছে।
৩০ অগাস্ট গভার রাতে ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানের মাটি ছাড়তেই, তালিবান বাহিনী বিজয় ঘোষণা করেছে। যা, এর আগের তালিবান শাসনের ভয়াবহ দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। প্রথমেই হেলিকপ্টারে মৃতদেহ ঝুলিয়ে টহলদগারি করে তালিবানরা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেই কালো সময়কে।
ইতিমধ্যেই মহিলাদের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ চাপাতে শুরু করে দিয়েছে তারা। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ছাড়া মহিলারা বাইরে বের হতে পারবেন না। কো-এডুকেশন বাতিল করা হয়েছে। মহিলা শিক্ষকরা শুধুমাত্র মেয়েদের পড়ানোরই অনুমতি পাবেন। রাজনীতিতেও মহিলাদের যে কোনও ভূমিকা থাকবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় আমেরিকান সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করার পরও দেশ ত্যাগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আফগান। তাঁদের পালাতে সাহায্য করছে বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে তারা এই দেশত্যাগে ইচ্ছুকদের জানিয়েছে, তালিবানরা খোঁজাখুঁজি করছে, এই বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের সীমান্ত পার করার চেষ্টা না করাই ভালো।