- Home
- World News
- International News
- দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে এবার উইঘুর, চিনের চাপে ট্রাম্প-ও এখন মুসলিম প্রেমে হাবুডুবু
দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে এবার উইঘুর, চিনের চাপে ট্রাম্প-ও এখন মুসলিম প্রেমে হাবুডুবু
এতদিন সারা বিশ্ব তাঁকে চিনত ঘোর ইসলাম বিরোধী হিসাবে। বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই তাঁকে চেনে ইসলামের এক নম্বর শত্রু হিসাবে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে মুসলিম বিরোধী একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, বেজিং-এর বিরোধিতায় সেই ট্রাম্প প্রশাসনও এখন মুসলিম প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। অবশ্য সোমবার মার্কিন পদক্ষেপের কড়া জবাব দিল চিন।
| Published : Jul 13 2020, 04:43 PM IST / Updated: Jul 28 2020, 06:38 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বরাবরই মুসলিম বিরোধী ট্রাম্প
ট্রাম্পের নামের সঙ্গে বরাবরই মুসলিম বিরোধী তকমা এঁটে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হয়ে শুরুতেই ৭-৭টি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তিনি। মুসলিম বিশ্বের দীর্ঘদিনের দাবিকে তোয়াক্কা না করে জেরুজালেম-এর উপর ইসরাইলের একচ্ছত্র অধিকারও মেনে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকী সেখানে মার্কিন দূতাবাস খোলার ঘোষণাও করেছেন। ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফা আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়াকেও ভালো চোখে দেখেনি মুসলিম বিশ্ব।
ট্রাম্পের মুসলিম প্রেম
সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই এখন চিনের বিরোধিতায় মুসলিম প্রেমে গদগদ। এর আগে বারবার করে মানবাধিকার কর্মীরা চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ তুললেও বাণিজ্যিক স্বার্থে এই বিষয়ে একটা কথাও বলেনি আমেরিকা। কিন্তু, দিন দুয়েক আগে উইঘুর অত্যাচারের দোহাই দিয়ে শিনজিয়াং প্রদেশের (উইঘুর অধ্যুষিত প্রদেশ) চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি-সহ বেশ কয়েকজন তিনা কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, মার্কিন মুলুকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং আমেরিকান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা।
পাল্টা পদক্ষেপ চিনের
সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দিয়েছে চিন। এদিন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনাইং দুই মার্কিন সেনেটর টেড ক্রুজ এবং মার্কো রুবিও এবং মার্কিন রিপ্রেসেন্টেটিভ ক্রিস স্মিথ, লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াল ফ্রিডম-এর মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক এবং চিন বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসনাল-এক্সিকিউটিভ কমিশনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেছেন।
চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপ
বেজিং বলেছে, চিন বিরোধী সাম্প্রতিক মার্কিন পদক্ষেপগুলি চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের সামিল। এতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রাথমিক নিয়ম মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। দারুণ ক্ষতি হয়েছে চিন-মার্কিন সম্পর্কের। কী ধরণের নিষেধাজ্ঞা এবং কীভাবে সেগুলি প্রয়োগ করা হবে, সে বিস্তারিত না জানানো হলেও, হুয়া চুনাইং বলেছেন, পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তার ভিত্তিতে চিন তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বন্দি অন্তত এক কোটি উইঘুর
রাষ্ট্রসংঘের চিন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন বন্দি শিবিরে কমপক্ষে দশ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলমানদের বন্দী করেছে বেজিং। চিনের অবশ্য দাবি, সেগুলি বন্দি সিবির নয়, 'প্রশিক্ষণ কেন্দ্র'। সেখানে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা নিরসনে সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করা হয় এবং তাদের নতুন নতুন দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।