- Home
- World News
- International News
- Nepal Otaku Jatra: কোভিডের মধ্যেই রঙিন নেপাল, ওটাকু যাত্রায় সামিল শয়ে শয়ে ফ্যানস, দেখুন
Nepal Otaku Jatra: কোভিডের মধ্যেই রঙিন নেপাল, ওটাকু যাত্রায় সামিল শয়ে শয়ে ফ্যানস, দেখুন
কোভিড মহামারির (Coronavirus Pandemic) কারণে, গত বছর বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এবারও, করোনা মহামারির তৃতীয় তরঙ্গের (Covid Third Wave) আশঙ্কা ছিল, তবে তার মধ্যেই নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুতে (Kathmandu), নববর্ষের দিন, ১ জানুয়ারি বার্ষিক কসপ্লে উত্সব, 'ওটাকু যাত্রা' (Otaku Jatra) উপলক্ষ্যে, জড়ো হয়েছিলেন শয়ে শয়ে পপ সংস্কৃতি অনুরাগী। কসপ্লে উত্সব (Cosplay Festival) কী? এটা অনেকটা আমাদের বাংলায় যেমন, 'যেমন খুশি সাজো' প্রতিযোগিতা হয়, তেমনই। কমিকস এবং রূপকথার জগতের বিভিন্ন চরিত্রের আদলে পোশাক ও অলঙ্কারে সেজে এই উৎসবে যোগ দেন ফ্যানরা। গোটা একটা দিনের জন্য কল্পনার জগত, নেমে আসে বাস্তবে -
- FB
- TW
- Linkdin
২০১০ সালে শুরু হয়েছিল, নেপালের একান্ত কসপ্লে উত্সব 'ওটাকু যাত্রা'। তবে প্রথমদিকে তা ছিল একেবারেই জৌলুসহীন। ২০১৬ সাল থেকেই বিরাট আকারে এই উৎসব পালন শুরু হয়েছিল।
কসপ্লে উৎসবের শুরুটা হয়েছিল বিংশ শতকেই। আমেরিকায় সায়েন্স ফিকশন কনফারেন্সে অনেকেই পছন্দের চরিত্রের পোশাকে সজ্জিত হয়ে আসতেন, সেই থেকে। তবে 'কসপ্লে' কথাটি চালু করেছে জাপানিরা। কস্টিউম অর্থাৎ পোশাক পরে প্লে অর্থাৎ খেলা করা।
নেপালে ওটাকু যাত্রা শুরুর দিনগুলিতে, আয়োজকদের লক্ষ্য ছিল অ্যানিম, কমিকস, গ্রাফিক নভেল, মাঙ্গা নভেল, ভিডিও গেম এবং টিভি সিরিয়াল - বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পপ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানগুলিকে একটি একক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করা। ২০১৬ সালের আগে আরও বিভিন্ন মজার প্রতিযোগিতার সঙ্গে, ওটাকু যাত্রার আরও একটি ইভেন্ট হিসাবে ছিল কসপ্লে। ওই বছর থেকে শুধু ওটাকু যাত্রা বলতে শুরু কসপ্লেই হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই কসপ্লে উত্সব কাঠমান্ডুতে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতি বছর আরও বেশি বেশি মানুষ এই উৎসবে সামিল হচ্ছেন। নেপালের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ, তাদের প্রিয় কাল্পনিক চরিত্রের বেশে, এসে জড়ো হন এই উত্সবে। ফ্যানরা নিজেদের মধ্যে কাল্পনিক জগতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের আবেগ ভাগ করে নেন।
তবে শুধু ফ্যানরাই নন, ওটাকু যাত্রায় অংশ নেন নেপালের নতুন স্বল্প পরিচিত লেখক, শিল্পী, কার্টুনিস্ট এবং চিত্রনির্মাতারাও। একদিকে ফ্য়ানরা তাঁদের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন। আবার, ফ্যানরাও তাদের ভাল লাগা, খারাপ লাগা জানাতে পারে তাঁদের।
তবে শুধু নেপালি নয়, কাঠমান্ডুর ওটাকু যাত্রায় দেখা মেলে জাপানি, আমেরিকান - সব পপ সংস্কৃতির চরিত্রদেরই। বিভিন্ন চরিত্রের পোশাকে সেজে মঞ্চে নিজেদের সেই চরিত্রের প্রদর্শন তো আছেই, তার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের বাইরেও আরও বহু খেলা, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে গোটা একটা দিন বাস্তব জগত ছেড়ে, কল্পনার জগতে থাকার সুযোগ পান, কাল্পনিক জগতের ফ্যানরা।
তবে বাস্তব জগত ছেড়ে পুরোপুরি পালানোর কি আর রাস্তা আছে? গত বছরই করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কথা বিবেচনা করে, এই উৎসব করা হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। অংশগ্রহণকারীরা নিজেরা ঘরেই পছন্দের চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন। তারপর অনলাইন ভিডিওয় হয়েছিল তার প্রদর্শনী।
এবার অবশ্য আবার শারীরিক অনুষ্ঠানে ফিরেছে ওটাকু যাত্রা। গত রবিবার, কাঠমান্ডুর বাবর মহলের কারকি ব্যাঙ্কোয়েটে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আয়োজিত হয় ওটাকু যাত্রা। মহামারির একঘেয়েমি কাটিয়ে এই রঙিন উৎসবে মেতে উঠেছিল পুরো নেপাল।
অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই উৎসব তাঁদের জন্য এক দুর্দান্ত অনুভূতি। শৈশব থেকেই এই চরিত্রগুলিকে তারা টিভির পর্দায়, বা কমিক বইয়ে দেখে আসছে। সেই চরিত্রদের যখন বাস্তব জীবনে হেঁটে-চলে বেড়াতে দেখা যায়, তখন এক মায়াবি পরিবেশ, এক স্বপ্নের জগত তৈরি হয়।
বাস্তব জগতে প্রতিযোগিতার চাপ যত বাড়ছে, ততই গত কয়েক বছর ধরে গোটা বিশ্বেই এই ধরণে কসপ্লে ইভেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিভিন্ন ফ্যান কনভেনশনে তো বটেই, বর্তমানে ওটাকু যাত্রার মতো বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র কসপ্লে ইভেন্টই হয় অনেকগুলি। সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি, হরর, ফিল্ম, টেলিভিশন, অ্যানিম, মাঙ্গা, কমিক্স, ভিডিও গেম, অ্যানিমেশন, খেলনা, ওয়েবকমিক্স - পপ সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রের মানুষেরই কসপ্লেতে আগ্রহ রয়েছে।