- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- দ্বিতীয় দফার ভোটযুদ্ধে সামিল একগুচ্ছ তারকা, মমতা শুভেন্দু ছাড়াও নজর রয়েছে যে প্রার্থীদের দিকে
দ্বিতীয় দফার ভোটযুদ্ধে সামিল একগুচ্ছ তারকা, মমতা শুভেন্দু ছাড়াও নজর রয়েছে যে প্রার্থীদের দিকে
দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে ১৭১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তালিকায় রয়েছেন রাজ্য রাজনীতির দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের ভোট লড়াই নন্দীগ্রামকে প্রায় এক দশক বাদে আবারও শিরোনামে পৌঁছে দিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিম ও তাঁর প্রাক্তন সহযোগী ছাড়াও এই ভোটে নজরকাড়া প্রার্থীর সংখ্যা ১২। রয়েছেন টলিউড স্টারও।
- FB
- TW
- Linkdin
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। নিজের ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে এবার ভোট যুদ্ধে নন্দীগ্রামের প্রার্থী। দুবারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তাঁরই হাতে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান হয়েছিল। সাংসদীয় গণতন্ত্রে একবার মাত্র সিপিএম-এর মালিনী ভট্টাতচার্যের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্রের লড়াইতে সিপিএম-এর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন মমতা।
শুভেন্দু অধিকারী
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁরই মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও তিনি। দুবারের সাংসদ শুভেন্দু। ডিসেম্বরে শিবির বদল করেন। জোড়া ফুল ছেড়ে নাম লেখানে সিঙ্গেল ফুলে। পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁর পরিবারের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তাঁর জীবনে বর্তমানে ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা মমতাকে হারানো। রাজনৈতিক পরিবারে থেকে উঠে এলেও বাংলার রাজনীতিতে নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েই মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁর রাজনৈতিক জীবন দাঁড়িয়ে রয়েছে এক কঠিন সন্ধিক্ষণে।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়
নন্দীগ্রামের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী। ভোট ময়দানে নেমেই দুই কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে ৩৭ বছরের মীনাক্ষীকে। তবে ছোট থেকেই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অভ্যস্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই ছাত্রী। বাম ছাত্ররাজনীতি থেকেই উত্থান তাঁর। ০১৮ সালে তিনি যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ওই বছরেই তিনি সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য হন। বাম রাজনীতি ক্রমশ বৃদ্ধতন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে বলে যাঁরা অভিযোগ বা আক্ষেপ করেন, তার ঠিক উল্টোদিকের বাস্তবতা মীনাক্ষী। তাঁর জন্ম ১৯৮৬ সালে। ডাকাবুকো তো বটেই, একই সঙ্গে তিনি সুর চড়াতে পারেন জনসভায়, রাজনৈতিক সমাবেশে। সুবক্তা হিসেবে তাঁর গুণগ্রাহীর পরিমাণ বড় কম নয়। ফেব্রুয়ারি মাসে নবান্ন অভিযানের দিন তিনি পুলিশি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।
মানস ভাইয়া
রাজ্যরাজনীতিতে পরিচিত নাম মানস ভুঁইয়া। কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। দল বদল করে বর্তমানে তৃণমূলের ঘরে তিনি। সবং বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৮২ সাল থেকেই এই কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি।তব্ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন। ২০০১ সালের উপনির্বাচনে আবারও জয়ী হন তিনি।
সৌমেন কুমার মহাপাত্র
তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দুবারের বিধায়ক। রাজ্যরাজনীতিতে কিছুটা হলেও কোনঠাসা ছিলেন তিনি। তবে এবার নিজের জেলায় ফিরতে পেরেছেন বিদায়ী মন্ত্রী। মমতা তাঁকে তমলুকের প্রার্থী করেছেন। গত বছর এই কেন্দ্র ছেড়ে পিংলা থেকে প্রতিদ্বিতা করেও জয় হাসিল করেছিলেন তিনি।
ফিরোজা বিবি
নন্দীগ্রামের শহিদের মা নামেই রাজ্যরাজনীতি পরিচিত ফিরোজা বিবি। পাঁশকুড়া পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তিনি। ২০১১ সাল থেকে বিধানসভায় যাচ্ছেন। গতবার তাঁর কেন্দ্র বদল হয়েছিল। মমতার হাত ধরে রাজ্যরাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।
সোহম চক্রবর্তী
খুব ছোটবেলা থেকেই টলিউডে তাঁরা আনাগোনা। এখন তিনি স্টার। তবে হালফিলে সোমহ চক্রবর্তী ভোট বাংলায় রাজনৈতির ময়দানেও পরিচিত নাম। চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছেন মমতা। তাঁর হয়ে প্রাচারও করেছেন তিনি।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা। বাংলা ফিল্ম ইনডাস্ট্রির পরিচিত মুখ।
হিরণ চট্টোপাধ্যায়
টলিউডের পরিচিত নাম হিরণ। কিন্তু এখন খড়গপুর কেন্দ্রে বিজেপির তুরুপের তাস। দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রে অভিনেতা প্রার্থীর ওপর ভর করেই ভোট বৈতরনী পার হতে চাইছে বিজেপি। তাঁর হয়ে প্রাচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর প্রতিপক্ষ প্রদীপ সরকার ও রীতা শর্মা।
হুমায়ুন কবীর
ভারতীয় ঘোষের প্রধান প্রতিপক্ষ। তৃণমূল টিকিটে তিনি ডেবরা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। পুলিশ আধিকারিক হিসেবেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
ভারতী ঘোষ
একটা সময় রাজ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ নাম ছিলে ভারতী ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্তদেকর মধ্যে ছিলেন অন্যতম। তিনি মনমতাকে জঙ্গলমহলের মা বলেও সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু তারপরেই চিড় ধরে সম্পর্কেক। চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি এখন পূর্ণসময়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন তিনি। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন তিনি। কিন্ত সেবার জয় হাসিল হয়নি তাঁর । এবার কী ডেবরা তাঁকে বিধানসভায় পাঠাবে?
অশোক দিন্দা
প্রাক্তন ক্রিকেটার। কলকাতা. পুনে বেঙ্গালুরু সহ একাধিক দলের হয়ে আইপিএল খেলেছেন। রঞ্জিট্রফিতেও সাফল্য ছিল নজরকাড়া। ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটেও তাঁর নাম ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট বিদায় জানিয়ে বর্তমানে রাজনীতির ২২ গজে ব্যাট করছেন দিন্দায বর্তমানে বিজেপির টিকিকে ময়না কেন্দ্রের প্রার্থী।