- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- সপ্তম দফায় তৃণমূলকে লড়তে হবে বিজেপি ও কংগ্রসের বিরুদ্ধে, ২৬ এপ্রিল ৩৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ
সপ্তম দফায় তৃণমূলকে লড়তে হবে বিজেপি ও কংগ্রসের বিরুদ্ধে, ২৬ এপ্রিল ৩৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ
সপ্তম দফা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপি। ৫টি জেলায় নির্বাচন হলেও তৃণমূলকে তিনটি জেলায় লড়াই করতে হবে বিজেপির সঙ্গে। আর দুটি জেলায় শাসকদলের মূল প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে সপ্তম দফায় ৩৫টি আসনের অধিকাংশতেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে বদলও হয়েছে প্রচুর। আর সেই কারণেই সপ্তম দফা নির্বাচনে কিছুটা হলেও কঠিন লড়াইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল। এবার চোখ রাখব ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের জেলাওয়াড়ি ফলাফলে।
| Published : Apr 24 2021, 07:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কলকতাঃ
ভবানীপুর, রাহবিহারী, বালিগঞ্জ ও কলকাতা বন্দর। এই চারটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। চারটির মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র একটি এগিয়ে বিজেপি। ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রই ছিল তৃণমূলের দখলে। আর সেই কারণেই রাসবিহারী কেন্দ্রটি ধরে রাখতে গেলে কঠিন লড়াই করতে হবে বিজেপির বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি গত লোতসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। স্বল্প ভোটের ফারাক হলেও এই কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়েছিল অর্পিতা ঘোষের। এই কেন্দ্রের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই গেরুয়া শিবির ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে নিজেদের শক্তি বাড়িছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মালদাঃ
বিজেপির সঙ্গে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে লড়াই করতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গে। যদিও একটা সময় কংগ্রেসের গড় হিসেবেই পরিচিত ছিল মালদা। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই জেলার যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে তার মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূল প্রত্যেকেই দুটি করে আসনে এগিয়ে ছিল।
মুর্শিদাবাদঃ
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছে মালদার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও ভালো ফল করবে তৃণমূল। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে এই জেলার যে ১১টি কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা ছিল তার মধ্যে মাত্র দুটিতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। বাকি সবকটি আসন দখল করেছিল তৃণমূল। তবে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ার সেকুলার ফ্রন্ট জোট বেঁধে। তবে এই জেলায় আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়নি। দুটি দলই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। তাই এই জেলায় লড়াই কিছুটা কঠিন হবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সামশেররঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ২৬ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৬ মে নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বর্ধমান পশ্চিমঃ
মূলত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচটি আসনে ভোট হয়ে ২৬ এপ্রিল। এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ভোটের আগেই এই এলাকা সাক্ষী থেকেছে একটি বড় দলবদলের। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জীতেন্দ্র তিওয়ারি দলবদল করে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আর সেইকারণে পাঁচটি আসনেই অনেকটাই ব্যাকফুটে তৃণমূল। জেলার বাকি যে চারটি কেন্দ্রে ভোট হবে সবকটিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তার হারানো জমি উদ্ধারে প্রথম থেকেই মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে। বর্ধমান পশ্চিমের মোট ৮টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে।