- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- প্রচার যুদ্ধে শুরুতেই ব্যাকফুটে কংগ্রেস, বাংলায় কবে আসছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা
প্রচার যুদ্ধে শুরুতেই ব্যাকফুটে কংগ্রেস, বাংলায় কবে আসছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা
- FB
- TW
- Linkdin
বাংলায় আটদফায় হবে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রচারে আলো কেড়ে এই রাজ্যে ভোট প্রচার চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মত বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিকবার তাঁরা রাজ্য সফরে আসছেন। পৌঁছে যাচ্ছেন প্রত্যন্ত এলাকায়। রাজ্যের বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নিশানা করছেন কংগ্রেসকেও। বাম কংগ্রেসের জোট নিয়ে রীতিমত কটাক্ষও শোনা গেছে তাঁদের
ভাষণে।
রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্য রীতিমত ঝড় তুলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাত লাগার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আগামী দিনে কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সব আশঙ্কা ঝেড়ে ফেলে হুইল চেয়ারে বসেই রোডশো করেছেন তিনি। ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে পুরুলিয়া- একের পর এক বিধানসভা কেন্দ্রে গুরুত্বের সঙ্গে দলীয় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তুলনায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ভোট প্রচারে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। দলের রাজ্যস্তরের নেতারাই প্রচার চালাচ্ছেন দলীয় ও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের হয়ে। এই রাজ্যে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা কবে ভোট প্রচারে আসবেন তা নিয়ে তেমন কোনও ইঙ্গিত দেননি রাজ্য স্তরের নেতারা।
বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কলকাতা উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সেখানে অনেকটাই মৃয়মান ছিল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ। দলীয় কার্যালয় অধীররঞ্জন চৌধুরীর উপস্থিতিতে দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ হয়। যা প্রচারের অলো তেমন পায়নি বলা যেতেই পারে।
তবে অন্য ছবি অসম, তামিলনাড়ু, পদুচেরী ও কেরলের ক্ষেত্রে। এই এলাকাগুলিকে নিবীড় প্রচারে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে।
পুদুচেরী ও তামিলনাড়ু- গুরুত্বের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে সামিল হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেও দেখা গেছে তাঁকে। আর বাম শাসিত কেরলেও কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে প্রথম সারিতে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ রাজনীতিতে মনোনিবেশ করলেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কিন্তু ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে অসমে গেছেন। সেখানে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমত সরব হয়েছেন।
এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত হেভিওয়েট কোনও কংগ্রেস নেতাকে ভোট প্রচারে দেখা যায়নি। সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেডে বামেদের হয়ে সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা উপস্থিত থাকলেও কংগ্রেসের দিল্লির কোনও নেতা আসেনি। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলাকে পাঠিয়েই দায় সেরেছিল শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই রাজ্যের ভোট নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন কেনও বার্তাও দেননি কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে কী বাম ও আব্বাসের আইএসএফ-এর সঙ্গে হাত মেলানো পছন্দ করছেন না সনিয়া। তা এখনও স্পষ্ট নয় বাংলার আম নাগরিকদের কাছে। যদিও সূত্রের খবর সনিয়া গান্ধী যথেষ্ট পছন্দ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
একটি সূত্র বলছে কেরলের ভোট মিটলে তারপরেই এই রাজ্যে ভোট প্রচারে আসবেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের মূলত টার্গেট মালদা আর মুর্শিদাবাদ থেকে যতবেশি সম্ভব আসনে জয় হাসিল করা। বাম আমল পেরিয়ে এসে তৃণমূলের জমানাতেও এই দুটি জেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে কংগ্রেস।
সপ্তম ও অষ্টম দফায় ২৬ ও ২৯ এপ্রিল মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভোট গ্রহণ হবে। তার আগেই এই দুই জেলায় ভোট প্রচারে শীর্ষ নেতৃত্ব জোর দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
কেরলে ভোট ৬ এপ্রিল। তারপরই এই রাজ্যে প্রচারে রাহুল গান্ধী জোর দিতে পারেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।