রাজনীতির মাঠে নেমেই বাজিমাত, চিনে নিন এই অজয় এডওয়ার্ডস-কে
- FB
- TW
- Linkdin
দার্জিলিং এর জনপ্রিয় রেঁস্তোরা গ্লেনারিজ (Glenarys)-এর মালিক তিনি। ২১ এর বিধানসভা ভোটের আগেই দলের টিকিট পাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয় অজয়ের।
দলে তিনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না- এই ছিল তাঁর প্রধাণ অভিযোগ। এই দিনটাই ছিল হামরো দলের উত্থানের সূচণা। এই অভিযোগের ইস্যু নিয়েই সুভাষ ঘি-সিং এর মত বিরোধ।
দার্জিলিং-এর GNLF-এর একাধিকবার সভাপতি পদে থাকার পরেও দার্জিলিং- এর সার্বিক উন্নতির জন্য সুভাষ ঘি সিং-এর থেকে দূরত্ব বজায়। এই হিসেবেই নিজেকে পরিচিত করে তুলেছিলন তিনি।
২০২১-এর নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই তিনি পরিবার নিয়ে পাহার ছাড়েন। অক্টোবর-নভেম্বর মাসের দিকে তিনি জানান যে তিনি GNLF দল থেকে পদত্যাগ করতে চান। এই পরেই তিনি ঘোষণা করেন তিনি নিজের সম্পূর্ণ নতুন দল ঘোষণা করবেন।
এর আগে পর্যন্ত পাহাড়ের রাজনীতি মানেই ছিল সুভাষ ঘিসিং ও বিমল গুড়ুং এর মত মুখ। কিন্তু অজয়-এর মত যুবরা এই ময়দানে ডনামার সঙ্গে সঙ্গে রাতারাতি পাহাড়ের রাজনীতিকে বদল আসে।
পাহাড়ের মানুষ যে নতুন কারও হাতে দার্জিলিং এর দায়িত্ব দিয়ে চাইছে তা এই পুরো ভোটেই বুঝিয়ে দিয়েছে সুভাষ ঘিসিং ও বিমল গুড়ুং-এর মত মানুষদের। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষে দিল্লি গিয়ে অমিল শাহ-এর সঙ্গে দেখাও করেন অজয়।
নির্বাচনের আগে অজয় জানিয়েছিলেন, তিনি "নিরব সংখ্যাগরিষ্ঠের কণ্ঠস্বর" হিসাবে দাঁড়াবেন এবং প্রয়োজন হলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পাহাড়ের উন্নয়ণের স্বার্থে অজয় বলেছিলেনন "রাজনীতিতে, রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ের সঙ্গে কূটনীতির প্রয়োজন, তবে আমাদের তাদের অধীন হওয়া উচিত নয়," বলেছেন এডওয়ার্ডস, যিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে গোর্খাল্যান্ডের ইস্যু সব সময়ই ছিল, তবে একই সঙ্গে উন্নয়নের পাশপাশি দরিদ্রদেরও যত্ন নিতে হবে।
ব্যবসায়ীক অজয় যতটা সুপ্রসিদ্ধ এবারে রাজনীতির মাঠেও সেই ছাপ তিনি রাখতে পারেন কিটা সেই মুখ চেয়ে বসে রয়েছে শৈল শহর। অনেক হল কথা দেওয়া নেওয়ার পালা। কাজ করেননি কেউই। তবে এবারে অজয়ের মুখ চেয়ে গোটা দার্জিলিং।
একদিকে পৃথক গোরখা ল্যান্ড দাবি অন্যদিকে পাহাড়ের আর্থিক উন্নয়ন ও বিকাশ এই দুইয়ের ব্যালেন্সে রাজনীতির মাপকাঠিতে কোন স্থান ভবিষ্যতে দখল করবে হোমরো দলের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস, সেই দিকেই মুখিয়ে আছে দার্জিলিং-সহ গোটা রাজ্য।