নামকরণ হয়েছিল ২০০৪ সালে, ১৬ বছর পর আছড়ে পড়ছে আমফান, তৎপরতা তুঙ্গে
ধেয়ে আসছে আমফান। আবহাওয়া দফতর থেকে খবর মেলা মাত্রই বিভিন্ন স্তরে ঝড়ের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে গত তিনদিন ধরে। আমফান ঝড়ের নামকরণ করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। থাইল্যান্ড থেকে প্রস্তাবিত হয়েছিল এই নাম। ঠিক তার ২৬ বছর পর আছড়ে পড়তে চলেছে আমফান।

বর্তমানে দিঘা ও সাগর থেকে আমফান অবস্থান করছে মাত্র ৯৫ কিলোমিটার দূরে। বুধবার দুপুরেই মধ্যেই তা প্রবেশ করবে উপকূলবর্তী এলাকাতে।
আমফানের আনুমানিক শক্তির দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই স্থগিত রাখা হয়েছে বাংলা ও ওড়িশার শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চলাচল। পরিবর্তীত সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
আমফান পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন স্তরে বৈঠক চলে। ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।
বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতার বিমান পরিষেবা। মঙ্গলবার মধ্যরাতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পন্যবাহী বিমান নামানোর কাজ। স্বাভাবিক হবে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার পর।
ইতিমধ্যেই এনডিআরএফের ৪০ টি দল পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীও।
ঝড়ের মুখে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার মোট তিন লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।
২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে নবান্নের কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া নজরদারি সরকারের প্রতিটি বিভাগের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের মহানির্দেশক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার শক্তিক্ষয় হবে আমফানের।
ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে তাণ্ডপ চালাবে আমফান।