- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- মুর্শিদাবাদে তারা মায়ের পুজোয় নানা অজানা ইতিহাস, চোখ রাখুন ঐতিহাসিক কালীপুজোয়
মুর্শিদাবাদে তারা মায়ের পুজোয় নানা অজানা ইতিহাস, চোখ রাখুন ঐতিহাসিক কালীপুজোয়
মুর্শিদাবাদের লালগোলায় শ্রীমন্তপুরেলর কালীপুজোর অজানা ইতিহাস। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র থেকে বিদ্রোহী কবি নজরুল। আজও স্মৃতি বহন করে এই তারা মায়ের পুজোর। ঐতিহাসিক এবং শতাব্দী প্রাচীন এই কালী মন্দিরের ঐতিহ্য ও সুখ্যাতি আজও সকলের মুখে মুখে। ১৭৯০ সালে লালগোলার রাজা রাও রামশঙ্কর স্বপ্নাদেশে এখানে কালী পুজোর নির্দেশ পান। সেইমতো, পদ্মানদীতে হঠাৎই দেবীর কাঠামো ভাসতে দেখেন। তারপরই মন্দির নির্মাণ করে শুরু হয় কালী পুজো।
- FB
- TW
- Linkdin
মুর্শিদাবাদের লালগোলার শ্রীমন্তপুরের কালীপুজো। আজও নানান অজানা ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। বঙ্কিমচন্দ্র থেকে কবি নজরুল ইসলাম এই মন্দিরে আনাগোনা ছিল। সম্প্রীতির বার্তায় এই কালী পুজো আজও সকলের কাছে জনপ্রিয়।
সালটা ১৭৯০। লালগোলার তৎকালীন রাজা রাও রামশঙ্কর স্বপ্নাদেশে কালীপুজোর নির্দেশ পান। তারপরই, পদ্মায় ভেসে আসে দেবীর কাঠামো। সেই কাঠামোয় মাটি লেপে ৪০ ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরি করা হয়। সেখানেই মন্দির নির্মাণ করে পুজিত হন দেবী।
কথিত আছে, মা কালী রাজা রাও রামশঙ্করকে স্বপ্নাদেশে বলেছিলেন, বর্ধমানের কাটোয়ার মণ্ডল গ্রাম থেকে পুরোহিত আনার ব্যবস্থা করতে। স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই দেবীর সেই নির্দেশ পালন করেন রাজা।
জানা যায়, ঐতিহাসিক ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনের ফল এই লালগোলার কালী মন্দির। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এই লালগোলায় টানা দশ বছর কাটিয়েছেন। তখন এই মন্দিরে তাঁর আনাগোনা ছিল বলে জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও জানা যায়, রাজার পরবর্তী উত্তরসূরী যোগীন্দ্র নারায়ণ রায় ১৯১৩ সালে মন্দির সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করেন। এই মন্দির চত্বরে মহাদেবের পুজোর জন্য আলাদা মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।