করোনার কোপে চাহিদা কমেছে পদ্মের, পুজোর মুখে সংকটে ফুলচাষীরা
বিলের জলে ফুল ফুটেছে প্রচুর। কিন্তু এবার খদ্দের মিলবে না তো? দুর্গাপুজোর আগে চিন্তায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের পদ্মচাষীরা। কারণ, করোনার আতঙ্ক।
- FB
- TW
- Linkdin
আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। তবে আর জাঁকজমক নয়, বরং করোনা আতঙ্কে নমো নমো করে শারদোৎসবে আয়োজন করছেন উদ্যোক্তারা।
যে ফুল পাঁকে ফোটে, সেই ফুল ছাড়া কি আর দুর্গাপুজো হয়! সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল লাগে। পুজোর সময়ে দু'পয়সা বাড়তি হয় পদ্মচাষীদেরও। কিন্তু এবার কী হবে?
প্রতিবছর যেমন হয়, এবার তেমনটাই হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ৫ নম্বর শেরপুর পঞ্চায়েতে পটলধাম গ্রামে ধোদরা বিল ভরে গিয়েছে পদ্মফুলের কুঁড়িতে।
অন্যন্যবার বিশ্বকর্মার পুজোর আগে থেকে গ্রামে এসে পদ্মফুলের জন্য চাষীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে যান পুজো উদ্যোক্তারা। বিশ্বকর্মা পুজোই নয়, এবার তো পুজোর একমাসে আগে মহালয়াও হয়ে গেল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ যোগাযোগই করল না!
কেন? পটলধাম গ্রামের পদ্মচাষী ননীগোপাল বর্মন জানালেন, লকডাউনের কারণে মানুষের টাকা নেই। গ্রামে পুজোগুলি খুব ছোট করে হচ্ছে। তাই পদ্মফুলেরও চাহিদা নেই।