- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার নতুন ৮ সদস্য, ছবিতে দেখে নিন ৫ পূর্ণমন্ত্রী আর ৩ প্রতিমন্ত্রীকে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার নতুন ৮ সদস্য, ছবিতে দেখে নিন ৫ পূর্ণমন্ত্রী আর ৩ প্রতিমন্ত্রীকে
বুধবার মন্ত্রিসভআর নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন বুধবার মন্ত্রিসভার রদবদল হবে। সেই অনুযায়ী এদিন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করেলন মমতা। স্কুল শিক্ষক দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর তিনটি দফতর নিজের হাতেই রেখেছিলেন মমতা। তখনই তিনি জানিয়েছেন মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাবেন। তখনই দায়িত্ব বন্টন করবেন। সেই সঙ্গে মমতার মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সুব্রত মুখপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডে। তাঁদের মৃত্যুতেও গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি প্রায় খালি পড়েছিল। কাই মন্ত্রিসভার রদবদল জরুরি ছিল। মোট আট জনকে নিয়ে আসা হয়েছে মন্ত্রিসভায়। যাদের মধ্যে পাঁচ জন পূর্ণ মন্ত্রী। আর বাকি তিন জন প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার উল্লেখযোগ্য নাম হল বাবুল সুপ্রিয়, উদয়ন গুহ।
| Published : Aug 03 2022, 06:31 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
তৃণমূলের ছাত্র নেতা তিনি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন। রায়গঞ্জের পরিচিত মুখ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তিনি। রায়গঞ্জের সভাপতি তিনি।
রাজনৈতিক উত্থানপতনের মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজ মমতার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন তিনি। বাবা তথা বাম আমলের কৃষিমন্ত্রী কমল গুহর হাত থেকেই রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন। বামেদের টিকিটে দিনহাট বিধায়ক হন। ২০০৬ সালে হারেন। ২০১১লে সিংহ প্রতীকে বামেদের প্রার্থী হয়ে জেতেন। তারপরই সকলকে চমকে দিয়ে ২০১৬ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে পা রাখেন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামানিকের কাছে হেরে যান। কিন্তু নিশীথ বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। এবার তিনি রাজ্যের মন্ত্রী হলেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে মন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিম। পূর্ণন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রিত্ব ভাগ্য ভাল এটা বলা যেতেই পারে। কারণ প্রথমবার ভোটে জেতার পরই নরেন্দ্র মোদী তাঁকে মন্ত্রী করেছিলেন। প্রথমে পাঁচ বছর টানা মন্ত্রিত্বের পরই চলতি বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় তাঁর মন্ত্রিত্ব যায়। তারপর ঘাসফুলে যোগ। বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে সুব্রম মুখাপাধ্যায়ের জায়গায় জিতে আসেন তিনি। তারপরই মন্ত্রী হলেন তিনি।
উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন তাজমুল হোসেন। ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে পালাবদলের সময় ফরোয়ার্ড ব্লকের টিকিটে জয়ী হন। তারপর পাঁচ বছর প্রশ্নে জেরবার করে দেয় শাসক দলকে। কিন্তু ২০১৬ সালে শিবির বদল করেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ নেতা পার্থ ভৌমিক। মুকুল রায়ের অতি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে মুকুল রায় দলবদল করে বিজেপিতে গেলেও পার্থ কিন্তু দল বদল করেননি। একটা সময় উত্তর ২৪ পরগানর যুব তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে নৈহাটির থেকে প্রথম ভোটে জেতেন। পার্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন। পাশাপাশি সুবক্তা আর সংসঠকে শক্তিশালী করার মতই ব্যক্তিত্ব। পরপর তিন বার নৈহাটি থেকে জিতেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন কৃষি দফতরের প্রধান প্রদীপ মজুমদার। ভোট রাজনীতিতে ২০১৬ সালে আত্মপ্রকাশ তাঁর। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর পশ্চিমকেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। আমলা হিসেবেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
আদি তৃণমূলের অন্যতম যোদ্ধা। পরিচ্ছিন্ন রাজনীতিতে রয়েছেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন দাসমু্ন্সীর হাত ধরেই ছাত্র নেতা হিসেবে রাজনৈতিতে পা রাখেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছেন তিনি। মমতার মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী তিনি।
হুগলির রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। সংবাদ চ্যানেলে দেখা যায়। মদন মিত্রের হুগলির যুব কংগ্রেসের সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে সাপলুডোর রাজনীতিতে শুধুই উত্থান স্নেহাশিস চক্রবর্তীর।