শিকড় ভোলেননি কখনও, পারিবারিক পুজোয় চণ্ডীপাঠ করতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়
কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি। দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে সাফল্যের চূড়োয় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের শিকড় কখনও ভোলেননি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রতিবছর নিয়ম করে পুজোর সময়ে চলে আসতেন বীরভূমে মিরিটি গ্রামে,পৈতৃক বাড়িতে। দুর্গামণ্ডপে বসে চণ্ডীপাঠও করতেন সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
- FB
- TW
- Linkdin
১৮৯৬ সালে কীর্ণাহারের মিরিটি গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন ঠাকুর্দা তারকনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৬ সালে বাবা কামদাকিঙ্করের মৃত্যুর পর পারিবারিক পুজো দায়িত্ব নেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
কাজের সুবাদে বছরভর থাকতে হত দিল্লিতে। পুজোর সময়ে কিন্তু রাজধানীতে পাওয়া যেত না ভারতীয় রাজনীতির চাণক্যকে। ষষ্ঠীর দিন সকালে প্রণববাবুর হেলিকপ্টার নামত পরোটা গ্রামে। সেখানে রাতে থাকতেন দিদির বাড়িতে।
সপ্তমীর সকালে ধূতি ও উত্তরীয় পরে কুঁয়ে নদীতে ঘট ভরতে যেতেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। টানা চারদিন দুর্গামণ্ডপে বসে চণ্ডীপাঠ করতেন তিনি। সঙ্গে চলত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আড্ডা।
পুজোর সময়ে মিরিটি গ্রামের বিখ্যাত বাড়ির দ্বার থাকত অবারিত। স্রেফ কংগ্রেসই নন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আনাগোনা লেগে থাকত। প্রণববাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তাঁর বন্ধু, পরিচিত ও বহু সাধারণ মানুষও।
মুখোপাধ্যায় বাড়িতে পুজো হয়তো এবারও হবে, শুধু থাকবেন না তিনি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের মূহ্যমান মিরিটি গ্রামের বাসিন্দারা। সোমবার রাতে পৈতৃক বাড়িতে ছবির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে।