লকডাউনের গেরোয় রেশমগুটি শিল্পীরা, বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা
অন্য জেলা থেকে আসতে পারছেন না ক্রেতারা, বন্ধ কেনা-বেচা। লকডাউনের জেরে মাথায় হাত বীরভূমের রেশমগুটি শিল্পীদের। বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
- FB
- TW
- Linkdin
বীরভূমের নলহাটি ২ ব্লকের দক্ষিণপুর ভদ্রপুর গ্রাম। গ্রামে ৬০টি পরিবারের বাস। রেশমগুটি চাষ করে সংসার চলে সকলেরই। পুরুষরা তো বটেই, এই কাজে হাত লাগান মহিলারাও।
রাজ্য সরকারের সেরিকালচার দপ্তর থেকে পলু পোকা কেনেন রেশমগুটি শিল্পীরা। এরপর বড় একটি ডালায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় পলু পোকা ও তুঁতপাতা।
তুঁতপাতা খাওয়ার পর পোকাদের শরীর থেকে লালা বেরিয়ে আসে। তা থেকেই তৈরি হয় রেশমগুটি। গ্রীষ্মকালে এই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে সময় লাগে ২৫ দিন, আর শীতকালে একমাসের থেকেও কয়েকদিন বেশি।
বীরভূমের শিল্পীদের কাছ থেকে রেশমগুটি কেনেন মালদহ ও মুর্শিদাবাদে ব্যবসায়ীরা। গুটি থেকে সুতো তৈরি করেন তাঁরা।
শিল্পীদের দাবি, গুটি তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাইরে থেকে খদ্দেররা আসতে পারছেন না। এভাবে যদি আর দু'একদিন ফেলে রাখতে হয়,তাহলে গুটি নষ্ট হয়ে যাবে।