ডবল ইঞ্জিন হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে চায়, বিজ্ঞপ্তি জারি রাজ্যের
- FB
- TW
- Linkdin
হেলিকপ্টার (Helicopter) ভাড়া নিতে চায় রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। তবে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকবে সেই কপ্টারের। তার মধ্যে যাতে ৬জন বসতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হেলিকপ্টারের দুটি ইঞ্জিন থাকতে হবে। এক কথায় ভিআইপিদের সফরের একেবারে উপযুক্ত হবে ওই কপ্টার।
তবে সেই হেলিকপ্টার ৮ বছরের বেশি পুরোনো হবে না। আর সেই কপ্টার ভাড়া দেওয়া সংস্থার সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মাসে ৪৫ ঘণ্টা যাতে সেটি আকাশে উড়তে পারে তেমনই কপ্টারই ভাড়া হিসেবে নেওয়া হবে। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহন দফতরের তরফে এই মর্মে একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর পরিবহন দফতরের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওয়েট লিজ’-এ হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে চায় রাজ্য সরকার। এর মানে হল, যে সংস্থা হেলিকপ্টার ভাড়া দেবে তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের উপরই থাকবে।
আরও বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৬ জন বসতে পারেন এমন কপ্টার নেওয়া হবে। হেলিকপ্টারে থাকতে হবে দুটি ইঞ্জিন। কোনও নির্ভরযোগ্য সংস্থার থেকেই এই কপ্টার ভাড়া নিতে চায় রাজ্য। ৫ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহী সংস্থাকে দরপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
তবে সব সংস্থা আবেদন করতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সংস্থা গত তিন বছরে কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। একমাত্র তারাই দরপত্র পাঠিয়ে আবেদন করতে পারবে। এছাড়া কারও আবেদন গ্রহণ করা হবে না। পাশাপাশি কপ্টার যাতে দিন ও রাতে সমান ভাবে উড়তে পারে তেমন কপ্টারই ভাড়া নেওয়া হবে।
দরপত্রে আগ্রহীদের জন্য বলা হয়েছে, আকাশপথে যাত্রার জন্য যে সব নিয়ম রয়েছে, সেগুলি অবশ্যই ওই সংস্থাকে মেনে চলতে হবে। সেই বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও ভার নেবে না। সব দায়িত্ব থাকবে ওই সংস্থার উপরই।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের ফ্লাইং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টরের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারের প্রয়োজনে ওই কপ্টারটি চলবে। তবে যে সংস্থার থেকে কপ্টার ভাড়া নেওয়া হবে তার বিষয়ে সবরকম খোঁজ খবর নেওয়া হবে। সব ঠিক থাকলে তবেই ওই সংস্থার থেকে কপ্টার ভাড়া নেওয়া হবে।
তাই যে সংস্থা দরপত্র পাঠিয়ে আবেদন করবে, তাদের ব্যবসা কেমন সেটাও দেখা নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। গত তিন অর্থবর্ষে কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে এমন সংস্থাকে দরপত্রে আহ্বান করা হচ্ছে।
এছাড়া যে সংস্থা আগ্রহী হবে সেই সংস্থার কাছে অতিরিক্ত কপ্টার থাকতে হবে। তবেই সেই সংস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ কোনওভাবে যদি একটি কপ্টার খারাপ হয়ে যায় তাহলে যাতে ওই সংস্থা সরকারের দরকারে অন্য কপ্টার ব্যবহার করতে দিতে পারে। অতিরিক্ত কপ্টার না থাকলে তা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না।
তবে যে সংস্থার থেকে কপ্টার ভাড়া নেওয়া হবে সেই কম্পানির সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করবে সরকার। পরে প্রয়োজন হলে সেই চুক্তি আরও ২ বছরের জন্য বাড়ানো হতে পারে। সব দিক ভাবনা চিন্তা করে তারপরই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।