- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Christmas 2021: শীতের আমেজ গায়ে মেখে ব্যান্ডেল চার্চ ও ইমামবাড়াতে উপচে পড়া ভিড় বড়দিনে
Christmas 2021: শীতের আমেজ গায়ে মেখে ব্যান্ডেল চার্চ ও ইমামবাড়াতে উপচে পড়া ভিড় বড়দিনে
- FB
- TW
- Linkdin
বড়দিনের (Christmas) ছুটিতে সকাল থেকেই জমিয়ে ভিড় ছিল ব্যান্ডেল চার্চে (Bandel Church)। পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম গির্জাগুলির একটি ব্যান্ডেল চার্চের পোষাকি নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি, ব্যান্ডেল। ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই চার্চ। প্রতি বছরই বড়দিনে এই চার্চে ভিড় করেন বহু মানুষ। এবারও তার অন্যথা হল না।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) কথা মাথায় রেখেই এবছর এই চার্চে পা রেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি মাস্ক ছাড়া এই চার্চের মধ্যে প্রবেশের অনুমতিও পাওয়া যায় না। তাই মাস্ক পরে, করোনা বিধি মেনেই চার্চে প্রবেশ করেছিলেন বহু মানুষ। সকাল থেকেই সেখানে উপচে পড়েছিল ভিড়।
অবশ্য চার্চের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেননি কেউই। কারণ করোনার কথা মাথায় রেখে এদিন মূল চার্চ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তা বলে নিরাশ হতে হয়নি সাধারণ মানুষকে। কারণ মূল গেট থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম গোসালা। শুধু সেটুকুই দর্শন করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালেন দর্শনার্থীরা।
ব্যান্ডেল চার্চের ফাদার জনি জানান যে, করোনার পরিস্থিতিতে সব রকম বিধি যাতে পালিত হয় সেদিকে চার্চের নজর রয়েছে। এমনকী, ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনার সময় যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেই কারণে চার্চের সীমানার পাশাপাশি উপাসনা গৃহ, চার্চের নতুন হল এবং অডিটোরিয়াম এই তিন জায়গায় প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বড়দিনের পাশাপাশি ১ জানুয়ারিও চার্চের মাঠে অবাধ প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এই দুই দিন বাইরে থেকেই চার্চ দর্শন করতে হবে সাধারণ মানুষকে। তবে চার্চের তরফে চার্চের বাইরেই যিশুর জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে একটি গোশালা তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই সাধারণ মানুষকে প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
ব্যান্ডেল চার্চের থেকে খুব বেশি দূরে নয় হুগলির ইমামবাড়া (Imambara) স্মৃতিসৌধ। সাধারণত ব্যান্ডেল চার্চ ও এই ইমামবাড়া একসঙ্গেই ভ্রমণ করেন অনেকেই। আর বড়দিনের সকালে সেখানেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেউ চার্চ দর্শন করে ইমামবাড়া আবার কেউ ইমামবাড়া দর্শন করে চার্চে যাচ্ছিলেন। সব মিলে সকাল থেকেই রীতিমতো ব্যস্ততা ছিল হুগলির এই দুই এলাকায়।
১৮৪১ সালে মুহম্মদ মহসীন ইমামবাড়ার নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন। ১৮৬১ সালে শেষ হয় কাজ। এটি দোতলা, যার প্রবেশদ্বারের উপরে একটি দীর্ঘ ঘড়ির টাওয়ার আছে। আর মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে কোরানের জটিল নকশা এবং পাঠ্য। মসজিদের অভ্যন্তরটি মার্বেল, মোমবাতি এবং ঝুলন্ত লণ্ঠন দ্বারা সজ্জিত।
বড়দিন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিড় করেছিলেন ইমামবাড়াতে। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় ছিল একেবারে চোখে পড়ার মতো। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোটদেরও সামিল হতে দেখা গিয়েছিল ওই ভিড়ে।
এমনকী, বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে ওই ইমামবাড়া চত্বরে বসে পিকনিক করতেও দেখা যায় অনেককেই। আসলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সবাই সেই ভয়কে কিছুটা দূরে সরিয়ে গা ভাসিয়েছিলেন আনন্দে। মেতে উঠেছিলেন বড়দিনের সেলিব্রেশনে।