সংক্ষিপ্ত

  • সচেতনতা ও করোনা বিধি পালন
  • করোনা ছুঁতে পারেনি পুরুলিয়ার ৮০টি গ্রামকে
  • পর্যটকরা এলেও করা হয়েছে করোনা পরীক্ষা
  • পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাছে হার মেনেছে করোনা

করোনা মহামারি আজ সারা পৃথিবী ব্যাপি এক আতঙ্কে পরিনত হলেও এই মারণ ব্যাধি ছুঁতে পারেনি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়কে। করোনার প্রথম তরঙ্গ পার করে ধীরে ধীরে যখন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে দ্বিতীয় তরঙ্গের মারন ভাইরাস, তখন সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও করোনা মুক্ত পুরুলিয়ার ৮০টি গ্রাম। সঠিক নিয়ম মেনে চলা ও করোনা বিধিকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার ফলেই আজ করোনা ছুঁতে পারেনি তাঁদের গ্রামকে। মনে করেন এখানকার বাসিন্দারা। 

বাইরের লোকের অযথা আগমন বন্ধ এবং  পাহাড়বাসীর নিজেদের আরো বেশি সচেতনতার কারণেই আজ অযোধ্যা পাহাড় করোনা মুক্ত বলে দাবি পাহাড়ের বাসিন্দাদের। বলরামপুর থেকে ঝালদা, বাঘমুণ্ডী থেকে আড়শা কোটশিলা মোট পাঁচটি ব্লক জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অযোধ্যা পাহাড়। অযোধ্যা পাহাড়ের  ওপরে ৮০টি গ্রাম সহ অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোটা একটা গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পাহাড়ের ওপরে।এছাড়াও ছোট ছোট ডুঙরি পাহাড়ের কোলে রয়েছে ছোট ছোট গ্রাম। ঘন  অরণ্যের মধ্যে থাকা গ্রামগুলির প্রায় সবই আদিবাসী অধ্যুষিত। গত এক বছর ধরে এই এলাকায় নিরন্তর কোভিড নিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

স্বাস্থ্য দফতর ক্যাম্প করে কোভিড পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়। বিপুল সংখ্যায় পর্যটক এই পাহাড়ে বেড়াতে আসেন। তাদেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়। আদিবাসী জনগণের মধ্যে সচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতা এখানে করোনাকে জয়ী হতে দেয়নি বলে মত অযোধ্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ জয়ন্ত মাণ্ডী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। 

আগে করোনা আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিনের একটা ডোজেই কাজ হবে : সমীক্ষা

অযোধ্যা পাহাড়ের বাসিন্দা তথা জামঘুটু প্রাথমিক বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক কেদার সিং মুড়া জানান, সরকারি যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশ মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্যই করোনার প্রথম তরঙ্গ কাটিয়ে দ্বিতীয় তরঙ্গও কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি এখানে। বাইরের লোক পাহাড়ে এলেও আমরা দূরে দূরে থেকেছি তার জন্যই এই অসাধ্য সাধন হয়েছে।

লাগবে মাস্ক-স্যানিটাইজার, নতুন নিয়ম মেনে বুধবার থেকে খুলছে তারাপীঠ মন্দির

উসুল ডুঙরি থেকে জিলিং সেরেঙ, ধান চাটানি, হেদেল বেড়া থেকে ছাতরা জেরা, সোনা হারা, সাপারাম বেড়া কিম্বা ডাকাই পাহাড়ের নীচে বহু দুর্গম গ্রাম এবং মাঠা পাহাড় থেকে অযোধ্যা কোলের দুয়ার সিনি সহ বহু প্রত্যন্ত গ্রাম আজও করোনা মুক্ত। যা সারা দেশ সহ পৃথিবীর কাছে মডেল।

 

তাই তো অভিনেতা থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সুযোগ পেলেই এই ফাঁকে কাটিয়ে যাচ্ছে অযোধ্যা পাহাড়ে। আর লক ডাউন উঠে গেলে যখন ট্রেন পরিষেবা বা পরিবহন সম্পূর্ণ সচল হয়ে যাবে তখন যে অযোধ্যা পাহাড়ে তিল ধরার জায়গা থাকবে না সেটা মেনে নিচ্ছেন অনেক হোটেল এবং ট্যুর ট্রাভেলস সংস্থার মালিকরাও।