সংক্ষিপ্ত
- ২ দিনের শিশু কোভিড আক্রান্ত
- বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি
- ২৬ দিন ভর্তি ছিল হাসপাতালে
- অসাধ্য সাধন করলেন চিকিৎসকরা
জন্মের পর থেকেই যমে মানুষে টানাটানি বোধহয় একেই বলে। কারণ জন্মের মাত্র ২ দিন পরেই জানা যায় সদ্যোজাত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর থেকেই রীতিমত চিকিৎসকদের তীক্ষ্ণ নজরে ছিল পূর্ব বর্ধমানের সেই সদ্যোজাত। ২৬ দিন পর কোভিড আক্রান্ত সেই শিশুর চিকিৎসায় সাফল্য মিলল বর্ধমানে এক বেসরকারি হাসপাতালে। ২৬ দিন পরে করোনা আক্রান্ত শিশুকে করোনা মুক্ত করে বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরেই মুখে হাসি ফুটেছে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক আর নার্সদের।
লাদাখ স্ট্যান্ড অফের মতই ভারত দক্ষিণে চিনকে অস্বস্তিতে ফেলতে পার
শিশুটির পিতা সুজিত ঘোষ জানান ; তারা কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা।শিশুটির জন্মের পরই তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপর তাকে ভেন্টেলেশনে রাখার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এনআরএসসহ একাধিক হাসপাতালে হাসপাতালে তাঁরা যান। কিন্তু কোথাও সে ব্যবস্থা করতে না পেরে তারা বর্ধমানের ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমানের এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানকে। তারপর থেকে চিকিৎসক ও নার্সরা দিনতার এক করে চিকিৎসা করেন। লাগাতার চিকিৎসা করে তাকে আজ সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেলেন তারা। এতে তারা খুবই খুশি।
'one nation one ration card' দ্রুত চালু হবে রাজ্যে, তেমনই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতার ...
অন্যদিকে ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাঃ আশরাফুল আলম মির্জা জানান; শিশুটিকে এখানে ভেন্টিলেটর অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা তারাই করে দেন। এখানেও তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়। তার করোনা টেস্টের রিপোর্টে বড় ধরণের সংক্রমণের প্রমাণ মেলে।সদ্যোজাতর ব্লাডপ্রেসার খুবই কম ছিল। এই ধরণের কোভিড সংক্রমণের সমস্যা সাধারণত সদ্যোজাতদের হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে তাই দেখা গেছে। শিশুটির ফুসফুসের অবস্থায় খুব খারাপ ছিল। তার মায়ের কোভিড সংক্রমণেরও প্রমাণ মেলে। এরপর চিকিৎসার নানা ধাপ পেরিয়ে শিশুটি আজ সুস্থ।এটা একটা বড় সাফল্য মনে করছেন তারা।