সংক্ষিপ্ত
চুইং গাম তৈরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি প্রয়োজন হয়। যা দাঁতে সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে।
চুইং গাম চিবোতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ হাতে গোনা। চুইং গাম চিবিয়ে স্ট্রেস রিলিজ করেন অনেকেই। সঙ্গে আবার যুক্তি দেন বেশ কিছু উপকারিতার। অনেকেই বলেন শরীরচর্চা করার সময় চুইংগাম খেলে নাকি দ্রুত ওজন কমে। শুধু তাই নয়, New England Journal Of Medicine-এ প্রকাশিত আরেকটি স্টাডি অনুসারে চুইংগাম খাওয়ার সময় প্রতি ঘন্টায় কম-বেশি প্রায় ১১ ক্যালরি বার্ন হয়।
কিন্তু ক্যালরি বার্ন হওয়ার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল চুইং গাম (Chewing gum) যে ক্ষতি করছে শরীরের (Body) তা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে (fatal damages)। শুনে অবাক হলেন তো। কিন্তু বিজ্ঞানীরা (Scients) বলছেন এটাই সত্যি। জেনে নিন, চুইং গাম খেয়ে কী কী ক্ষতি শরীরের ডেকে আনছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে চুইং গাম চিবানোর ফলে গ্যাস তৈরি হয় এবং আপনার যদি সারাক্ষণ চুইং গাম চিবানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে তা পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
চুইং গাম খেলে মাথা ব্যথা হতে পারে। একটি পরীক্ষামূলক গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, নিয়মিত চুইং গাম খাওয়ার সাথে মাইগ্রেন অথবা মাথাব্যথার সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে। অনবরত চুইং গাম চিবানোর ফলে Temporomandibular Joint এর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। যা থেকে মুখের চিবানোর শক্তি কমিয়ে দেয়।
চুইং গাম মূলত তৈরি করা হয় কেমিক্যাল উপাদান ও নন-এডিবল উপাদানের সমন্বয়ে। চুইং গাম খাওয়ার ক্ষেত্রে চুইংগাম চিবিয়ে তার স্বাদ বা ফ্লেভার গ্রহণ করে ছিবড়ে অংশটি ফেলে দেওয়া হয়। চুইং গাম ফেলে দেওয়ার পরেও তার কেমিক্যালের অংশ আমাদের মুখের ভেতর দীর্ঘসময় রয়ে যায়
বেশ কিছু টুথ হোয়াইটেনিং চুইং গামে টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড নামক এক প্রকার উপাদান ব্যবহার করা হয়। এতে করে এই চুইং গাম খাওয়ার পর দাঁতে চকচকে ভাব দেখা দেয়। এই উপাদানটি সাময়িক সময়ের জন্য দাঁতকে সুন্দর করে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে দাঁতের ও মাড়ির। এই উপাদান থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও ক্যানসার হতে পারে।
চুইং গামে উপস্থিত চিনি দাঁত ব্যথার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। অনেক চুইং গামেও সুগার ফ্রি উপাদান ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এগুলোর মধ্যে স্বাদের জন্য অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, যা দাঁতের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
চিনিবিহীন চুইং গামও বাজারে পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এই চুইং গামগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হয় আর্টিফিশিয়াল সুইটনার। এই উপাদানটি শরীরের মেটাবলিজমের উপর প্রভাব ফেলে। এছাড়া এইসকল আর্টিফিশিয়াল সুইটনারে থাকে ক্যানসার তৈরিকারী উপাদান।
মিষ্টি ও হরেক ফলের স্বাদের জন্যেই মূলত শিশুদের মাঝে চুইং গাম এতো জনপ্রিয়। অনেকে আবার ক্ষুধাভাব কমাতে চুইংগাম খেয়ে থাকেন। চুইং গাম তৈরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি প্রয়োজন হয়। যা দাঁতে সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। এছাড়া চুইং গামের এই চিনি রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি করে।