সংক্ষিপ্ত


ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন-ডি- দুটোর ঘাটতি একসঙ্গে অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই তা থেকে রেহাই পেয়ে একটু রোদে দাঁড়ানো জরুরি। সঙ্গে রইল চারটে খাবার। যা সমস্যা সমাধান করতে পারেব।

শুধু হাড় বা দাঁত নয়। ক্যালসিয়াম শরীরের অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে অত্যান্ত উপযোগী। রক্ত জমাট বাঁধা, হৃদযন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ, স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না থাকায় একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। তারমধ্য অন্যতম হল ক্লান্ত বোধ করা। দাঁতের সমস্যা তৈরি হওয়া। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া। পেশীতে খুঁচিনি লাগা। 

সাধারণত যাঁরা থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের শরীরে ক্যাসলিয়ামে ঘাটতি অনুভূত হয়। এছাড়াও মেনোপজের সময় মহিলাদেরও এজাতীয় সমস্যা হয়। হরমোন জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পেতে হলেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরণ করতে হবে। কিন্তু ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে মোটেও মুঠোমুঠো ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাইজন্যই আয়ুর্বেদিক  বিশেষজ্ঞ ঘরেয়া উপায়ের কথা বলেছেন যাতে দ্রুত আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরণ হয়। 


আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের কথায় ভিটামিন ডি-এর অভাবের কারণে মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়। এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেছেন, ক্যালসিয়াম ফসফেট ও ম্যাগনেসিয়াম আয়নের সঙ্গে ক্যালসিয়াম অন্ত্র থেকে শোষণকে সহজ করে। এর অভাবে খাদ্যের ক্যালসিয়ামের কার্যকরভাবে শোষিত হয় না। তিনি আরও বলেছেন ভিটামিন ডি আপনার শরীরকে ক্যালসিয়ামে শোষণ করতে দেয়। তাতে হাঁড় ও দাঁত মজবুত হয়। পাশাপাশি অনেকটাই কমে যায় চুলপড়া। নখ আর চুলের স্বাস্থ্য ক্যালসিয়ামের ওপর নির্ভর করে। 

তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরণ করার জন্য ভিটামিন ডি পাওয়া অত্যান্ত জরুরি। সেই কারণে আয়ুর্বেদ চিকিৎসামত একজন ব্যক্তির শরীরে ভিটামিন ডি ঘাটতি মেটায় মাত্র ২০ মিনিট রোদ্দুরে খাকা। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত  যেকোনও সময়ই আপনি রোদে দাঁড়াতে শরীরে ভিটামিন ডিএর চাহিদা পুরণ হবে। এর পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি একই সঙ্গে পুরণ করবে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা। সেগুলি হলঃ

আমলকি-  
ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম- এই তিনটির ঘাটতি পুরণ করতে আমলকি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কাঁচা ফল, জুস বা গুঁড়ো বা সরবত যেকোনও আকারেই খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যাঁদের জয়েন্ট ব্যাথা হয় তাঁরাও ভুলেও আমলকি খাবেন না। 


মোরিঙ্গা-
মেরাঙ্গা পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর আয়রন ও ভিটামিন সি, ডি আর এ থাকে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ মহিঙ্গা পাতার গুঁড়ো খেতেই পারে। তবে যাদের পিত্তির ব্যামো রয়েছে তারা ভুলোও এই পাতা খাবেন না।

তিনবীজ-
এক টেবিল চামচ কালো বা সাদা তিল বীজ শুকিয়ে রোস্ট করে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ভাত দিয়েও খেতে পারেন। তাহলে দ্রুত ফল পাবেন। তিলের লাড্ডু ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটায়। 

দুধ- 
ক্যালসিয়ামের ও ভিটামিন ডিএর অভাব পুরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ দুধ। সকালে বা বিকেলে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেতেই পারেন। কোনও সমস্যা হবে না। যাদের গ্যাস অম্বলের সমস্যা রয়েছে তারা ঠান্ড দুধ খেতে পারেন। দুধ ক্যালসিয়ামের মাত্রা ৮.৫ থেকে ১০.২ মিলিগ্রাম বাডিয়ে দেয়।