সংক্ষিপ্ত
গবেষণা করে দেখা গেছে ডিম খেলে শরীরের রক্তসঞ্চালনে কোনো ক্ষতি হয় না। ডাক্তাররা এতদিন বলে এসেছেন প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ডিমের আমি, ডিমের তুমি...কিছু মানুষ ঠিক এতটাই ভালবাসেন ডিম খেতে। গবেষকদের মতে, ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে, তাই অতিরিক্ত ডিম খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। অনেকেই ডিমকে শরীরের শত্রু বলে প্রচার করে এসেছেন। ডিম স্যালমোনেলা জীবাণুর উৎস। ডিম শরীরে কোলেস্টরল বাড়িয়ে দেয়।
তবে জানেন কি সঠিক ভাবে ডিম (Egg) খাওয়া হলে তা ওজন কমাতে (Weight loss) সাহায্য করে। ওজন কমানোর কথা উঠলেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের (Protein rich foods) কথা উঠে আসে। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি খাবার হল ডিম। তবে ওজন কমাতে ডিম, এটা শুনে অনেকেই হতবাক হচ্ছেন। কিন্তু এটা সত্যি যে প্রতিদিন ডিম খেলেই কমবে দেহের বাড়তি ওজন। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চললেই ওজন কমার পাশাপাশি শরীর ও সুস্থ থাকবে।
তবে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে ডিমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, ডি, বি, বি-১২ রয়েছে যা বৃদ্ধ বয়েসে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে। গবেষণা করে দেখা গেছে ডিম খেলে শরীরের রক্তসঞ্চালনে কোনো ক্ষতি হয় না। ডাক্তাররা এতদিন বলে এসেছেন প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ডিমের সঙ্গে হেলদি ডায়েট
এক্সারসাইজ, ডায়েট করে ওজন কমাতে সারাদিন শুধু স্যুপ আর স্যালাড খেয়ে আছেন? এতে ওজন কমলেও মন ভরছে না। ওজন কমাতে এবার আপনার সঙ্গী হতে পারে ডিম। তবে এর পাশাপাশি হেলদি ডায়েটও রাখতে হবে। যেমন ডিমের সঙ্গে পালংশাক, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম পাতে রাখুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- সহজ টোটকায় দূর হবে রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের সমস্যা, রইল হেয়ার প্যাকের হদিশ
অনেকে বলেন ডিমের সাদা অংশ ভালো আর কুসুম খাওয়া ভালো নয়, বিজ্ঞানীরা এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের মতে গোটা ডিম অতিরিক্ত খাওয়াই উচিত না। এমনকি বিজ্ঞানীরা বলছেন কাঁচা ডিমের তুলনায় ওমলেট, পোচ বা সেদ্ধ খেলে ক্ষতির সম্ভবনা বেড়ে যায়।
ডিমের কুসুম বাদ
ডিম খাওয়া মানেই ডিমের কুসুম বাদ, এই প্রচলিত ধারণা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের ওষুধ বাদ রাখেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। ডিমের কুসুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের প্রতিটি অংশই খুব উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ডি, বি ২, বি-১২ থাকে , যা হাড়ের জন্য উপকারী। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তারা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম রাখুন।
সঠিক তেলে রান্না
ডিম এমনই একটা জিনিস, যেটা রান্না করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। বাটার থেকে তেল নানা জিনিস দিয়েই এই সুস্বাদু ডিম রান্না করা হয়। কিন্তু তেলের ব্যবহারের জন্যই হার্ট অ্যাটাক কিংবা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই অলিভ অয়েলের ব্যবহার অনেকটাই ভাল।