সংক্ষিপ্ত
দুর্বল ব্যক্তি যারা ব্যায়াম ডায়েটিং বা ওষুধ খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের দীর্ঘমেয়াদী ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি তাদের জীবনে টাইপ -২ ডায়াবেটিশের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হার্ভাট টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলফের সম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে ইচ্ছেকৃত ওজন হ্রাসই সামগ্রিকভাবে উপকারী।
দুর্বল ব্যক্তি যারা ব্যায়াম ডায়েটিং বা ওষুধ খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের দীর্ঘমেয়াদী ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। পাশাপাশি তাদের জীবনে টাইপ -২ ডায়াবেটিশের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হার্ভাট টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলফের সম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে ইচ্ছেকৃত ওজন হ্রাসই সামগ্রিকভাবে উপকারী। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে টাইপ-২ ডায়াবেটিশ হওয়ার জন্য স্থূলতা বা মোটা হওয়াও অনেকটা নির্ভরশীল।
গবেষকরা চার বছর ফলোআপের পর জানিয়েছেন ব্যায়ামই ওজন কমানোর সবথেকে উপকারী কৌশল। গবেষণা রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, ব্যায়ামে স্থূল ব্যক্তিদের ওজন ৪.২ শতাংশ কমে। আর অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের ওজন ২য়৫ শতাংশ আর চর্বিহীন ব্যক্তিদের ওজন ০.৪ শতাংশ কমে। সেখানে ওষুধ খেয়ে স্থূল ব্যক্তিদের ওজন ০.৩, অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের ওজন ২ শতাংশ আর চর্বিহীন ব্যক্তিদের ওজন ৩.৭ শতাংশ কমে যায়।
জোর করে বা ওষুধ খেয়ে ওজন কমালে মাত্র ২৪ বছরের মধ্যেই টাইপ ২ ডায়াবেটিশ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমালে স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিশের ঝুঁকি ২১ শতাংশ কমে। তবে পিল গ্রহণ করে যারা তাদের ডায়েবেটিশের ঝুঁকি থাকে ১৩ শতাংশ।
অতিরিক্ত ওজনের লোকেদের ক্ষেত্রে, ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৯ শতাংশ কমেছে কিন্তু যারা বড়ি গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ বেড়েছে। চর্বিহীন ব্যক্তিদের মধ্যে, সমস্ত ওজন কমানোর কৌশল টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমিয়েছেন তাদের ঝুঁকি নয় শতাংশ এবং যারা বড়ি খেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
ভারতের প্রায় ৭৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিশে আক্রান্ত । আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। কিন্তু ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মতে দুর্বল ব্যক্তিদের এখনই ব্য়ায়াম বন্ধ করা ঠিক নয়। ব্যায়ামের পাশাপাশি তাঁদের পরিমিত আহারের প্রয়োজন। তবে জোর করে ওজন কমানো কখনই উচিৎ নয়। তবে মোটা ও অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে তাদের ৮০ শতাংশেরই টাইপ-২ ডায়াবেটিশে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওজন কমানো তাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।