সংক্ষিপ্ত
ওষুধ খেয়ে হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ কমানোই যায়। কিন্তু তারও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয় জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে। উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধমনীতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় ধমনীতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে হৃদপিন্ডকে বেশি কাজ করতে হয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ২০১৭-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে প্রতি তিন জন ভারতীয়ের মধ্য়ে ১ জন হাইপারটেনশন বা হাইপ্রেশারে ভোগেন। ওষুধ খেয়ে হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ কমানোই যায়। কিন্তু তারও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই বাড়ির খাবার খেয়ে যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার থেকে ভালো আর কীই বা হতে পারে। হাই প্রেশারের কবলে পড়লে নুন খাওয়া সম্পূর্ণ বাদ দিতে হয় এমন কথিত আছে।
উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ
স্থূলতা, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, ভারসাম্যহীন খাবার, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতা, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব সবই রক্তচাপের সমস্যার প্রধান কারণ হতে পারে। আপনার ছোট ছোট ভুলও বাড়িয়ে দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। আসুন জেনে নিই উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে কী করা উচিত নয়।
রক্তচাপ এড়াতে এই ৩টি অভ্যাস ত্যাগ করুন
অত্যধিক লবণ গ্রহণ
এতে থাকা লবণ বা সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের সমস্যা বাড়ায়। অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। দিনে এক চা চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। যাইহোক, শরীরের জন্য কিছু পরিমাণ লবণ প্রয়োজন। এটি শরীরকে এনার্জেটিক রাখতে এবং কাজ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়, তবে এটির অতিরিক্ত সেবন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এড়াতে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। ফুল-ফ্যাট মিল্ক-ক্রিম, মাখন, রেড মিট ইত্যাদিতে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকতে পারে, তা এড়িয়ে চলা আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট সেবনে রক্তচাপের পাশাপাশি শরীরে আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
অ্যালকোহল আসক্তি
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের একেবারেই অ্যালকোহল খাওয়া উচিত নয়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় কম অ্যালকোহল গ্রহণ এবং নিম্ন রক্তচাপের মধ্যে একটি লিঙ্ক পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনকি যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নেই, তারাও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই ঝুঁকি কমাতে পারেন। অ্যালকোহল সেবন রক্তচাপের ওষুধের প্রভাবকে বাতিল করতে পারে।