সংক্ষিপ্ত

পেঁপের বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক। এই উপাদান দেহে বাসা বাঁধা বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে।এছাড়াও দেহে প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করার মতো কাজ করে পেঁপের বীজ।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে সকল ব্যক্তি সচেতন তাদের খাদ্যতালিকায় পেঁপে থাকবে না তা সম্ভবই নয়।পেঁপে খাওয়ার সময় তার বীজ ফেলেই দিয়ে থাকেন সকলে।তবে এটা কি কেউ জানেন,আপনি যে পেঁপের বীজ ফেলে দিচ্ছেন তাতে ঠিক কত ধরনের উপকার রয়েছে?বিশেষজ্ঞরা বলছেন পেঁপের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন।এতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো বেশ কিছু খনিজ উপাদান।পেঁপের বীজ ফ্ল্যাভোনয়েডের ভাল একটি উৎস যা হজমশক্তি বাড়ানোর অন্যতম একটি উপাদান। আসুন দেখে নেওয়া যাক পেঁপের বীজের ঠিক কি কি উপকার রয়েছে।

পেঁপের বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক। এই উপাদান দেহে বাসা বাঁধা বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে।এছাড়াও দেহে প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করার মতো কাজ করে পেঁপের বীজ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন লিভার সিরোসিসে যে সমস্ত ব্যক্তিরা আক্রান্ত তাদের জন্য এই বীজ অত্যন্ত উপকারী। 

ডেঙ্গি প্রতিরোধক- ডেঙ্গি রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও পেঁপের বীজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।ডেঙ্গি জ্বরে কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হলে  সেই ব্যক্তির অনুচক্রিকা  হ্রাস পেতে থাকে।এই সময় দৈনিক পেঁপের বীজ ও পেঁপের পাতা খেলে আবার স্বাভাবিক মাত্রায় অণুচক্রিকা দেহে ফিরে আসে।

ঋতুস্রাবের ব্যাথা কমাতে-  ঋতুস্রাবের সময় অসহ্য যন্ত্রনা হয় অনেকেরই।এই ধরনের সমস্যায় পেঁপের বীজের সাথে মধু মিশিয়ে খান।ব্যাথায় অনেকটা উপসম পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে সহায়তা করে- পেঁপের বীজের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তাতে পরিপাক ক্রিয়া বেশ ভালো থাকে।হজমের সমস্যা থাকলে এই উপায়ে তা দূর করা সম্ভব।আর হজমশক্তি ভালো থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- পেঁপের বীজ ভিটামিন সি, অ্যালকালয়েড ও ফ্ল্যাডোনয়েডে সমৃদ্ধ।এই উপাদান গুলি প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কিভাবে পেঁপের বীজ খাবেন? - পেঁপে খাওয়ার আগে বীজ গুলি বের করে একটি পাত্রে সংগ্রহ করে তা রোদে শুকিয়ে নিন।এবার ওই শুকনো বীজগুলি গুঁড়ো করে নিয়ে তা একটি কাঁচের পাত্রে ভরে রাখুন।সাধারনত এই বীজের স্বাদ তেতো হয়।এই কারনেই স্যালাড বা স্মুদি বানানোর সময় এই গুঁড়ো তাতে মিশিয়ে নিয়ে খেলে তাতে তেতো ভাব লাগবে না আবার পুষ্টিগুন ও পাবেন।