সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি বেলজিয়ামের আরলনের ফেরোরো কর্পোরেট প্ল্যান্ট বাটারমিল্ক ট্যাঙ্কে সালমোনেল ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করা হয়েছিল। এই সংস্থার তৈরি একাধিক চকোলেট বিশ্বের একাধিক দেশে বিতরণ করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সলমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামে একটি রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। যার কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দায়ি করেছে বেলজিয়ামে তৈরি একপ্রকার চকোলেট। এই চকোলেট থেকে বিশ্বের প্রায় ১১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সলমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামের এই রোগটি। এটি প্রথামিকভাবে আন্ত্রিকের রোগজীবাণু হিসেবে মানুষকে সংক্রমিত করে। সংক্রমণটি দুষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সালমোনেলা নামের একটি ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের এপিথেলিয়ামে পৌঁছে যায়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এই রোগ নিয়ে সচেতন করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি বেলজিয়ামের আরলনের ফেরোরো কর্পোরেট প্ল্যান্ট বাটারমিল্ক ট্যাঙ্কে সালমোনেল ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করা হয়েছিল। এই সংস্থার তৈরি একাধিক চকোলেট বিশ্বের একাধিক দেশে বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কিন্ডার সারপ্রাইজ, কিন্ডার মিনি এগস, কিন্ডার সারপ্রাইজ ম্যাক্সি 100 গ্রাম এবং কিন্ডার স্কোকো-বন্স)।
চিকিৎসক গৌরব জৈন জানিয়েছেন সালমানেলা সংক্রমণ বা সালমোনেলোসিস হল একটি সাধারণ ব্যাকটেলিয়া সংক্রমণ। যা মানুষের অন্ত্রের ট্যাক্টকে প্রভাবিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম গ্যাস্ট্রোএন্টেরইটিস সৃষ্ট করে। যারফলে ডায়রিয়া বমি, জ্বর ও পেটেব্যাথার মত সমস্যাগুলি দেখা যায়। ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসার ১২-৭২ ঘণ্টার পরে এই রোগের আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষ্ণণগুলি দেখা দিতে শুরু করে।
চিকিৎসার পদ্ধতি
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এটি সাধারণত চার থেকে সাত দিন স্থায়ী হতে পারে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারও প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এমনও অনেক সময় হয় যে ডায়েরিয়া এত গুরুতর হতে পারে যে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়। সালমোনেলা সংক্রমণ অন্ত্র থেকে রক্ত প্রবাহে ও তারপর শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সালমোনেলা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা কম হলেও দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
কী কী করণীয় -
কাঁচা মাছ মাংস ডিম খাবেন না।
সবে রান্না করা খাবারও খাবেন না
পাস্তুরিত দুধ বা জুস দিয়ে কোনও কিছু খাবেন না
রান্নার আগে মুরগি বা ডিম ধুয়ে নিন
কাঁচা ফল সবজি ভালো করে ধুয়ে নিন , সম্ভব হলে খোসা ছাড়িয়ে খান
ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করুন
সর্বদা হাত পরিষ্কার রাখুন, খেতে বসার আগে হাতে ধুয়ে নিন