সংক্ষিপ্ত

যোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি অনেক প্রাণায়াম রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এজাতীয় প্রাণায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বুক আর নাকে জমাটবাঁধা সর্দি সারিয়ে দিতে পারে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা বাড়ায়। 

২৫ এপ্রিল পালান করা হয় বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এবারও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই বিশেষ দিনে একাধিক সচেতনামূলতক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।  কিন্তু তার আগেই আমরা আপনাদের জন্য কয়েকটি টিপস দিচ্ছে যা ম্যারেলিয়ার উপসর্গ থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। 

ম্যালেরিয়া- এমন একটি রোগে এখনও এই রোগের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। একটা সময় ম্যারেলিয়ার ছিল অভিশাপের মত। মশাবাহিত এই রোগটি এখনও অনেক এলাকায় ত্রাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্লাজমোডিয়াম প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্টি ম্যালেরিয়ার সংক্রমিত মশার কামড় থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। রোগের তীব্রতা পরজীবীর ওপর নির্ভর করে। ম্যালেরিয়ার লক্ষ্মণগুলির মধ্যে রয়েছে ঠান্ডালাগা, মাঝে মাঝে জ্বর হওয়ার, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া, খাবারে অরুচি। সঠিক চিরিৎসার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধ করা যায়। ম্যালেয়িরার সময় জ্বরের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি কতগুলি যোগাসন করতেই পারেন। সেগুলি আপনাকে সাময়িক রিলিফ দেবে- বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

যোগ বিশেষজ্ঞদের দাবি অনেক প্রাণায়াম রয়েছে যা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এজাতীয় প্রাণায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বুক আর নাকে জমাটবাঁধা সর্দি সারিয়ে দিতে পারে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা বাড়ায়। সুস্থ থাকার জন্য এই প্রাণায়ামগুলির নিয়মিত অভ্যাস জরুরি। 


নদী শোধন প্রাণায়াম- এই যোগাসন বা প্রাণায়াম শরীরের তামপাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীররে ডিটক্সিফাই করতে পারে। রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই প্রাণায়ম টেনশন থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে। 

শীতলী প্রাণায়াম- এই আসনটি শরীরেকে শীলত করতে ও অতিরিক্ত তাপ দূর করতে সাহায্য করে। এটি হমজের কাজেও সাহায্য করতে। এই প্রাণায়ম ত্বকের জ্বালা থেকে রেহাই দিতে পারে। 

অনুলোম বিলোম প্রাণয়াম- এই আসন শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি পেটের সমস্যারও সমাধান করে। সাইনায় ও নানা ধরনের অ্যালার্জি সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

কপালভাতি প্রাণায়ম- এই প্রানায়ম পচনতন্ত্র ও পেটের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি অনুনাসিক প্যাসেস শক্তিশালী করে। বুকে ও নাকে জমা সর্দি সরিয়ে দিতে পারে। 

সর্বাঙ্গাসন বা হেনস্ট্যান্ড- ঘাড় আর বাহু ও কাঁধকে শক্তিশালী করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

মৎস্যায়ন বা মাছের ভঙ্গি- এই আসনটি হজমে  কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। এটি ঘাড়কে শক্তিশালী করে। ঘাড় বা কাঁধের ব্যাথা সারিয়ে গিতে পারে।