- Home
- India Independence
- Freedom Struggle
- স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্রাস কালাপানির সেলুলার জেল, বন্দিদের দেহ সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে দেওয়া হত
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্রাস কালাপানির সেলুলার জেল, বন্দিদের দেহ সমুদ্রের জলে ছুঁড়ে দেওয়া হত
| Published : Aug 08 2024, 08:05 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কালাপানি
ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারের চরম সাক্ষী নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে সেলুলার জেল। কিন্তু কেন এই নাম। সিপাহী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ১৯৪৭- স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরম সাজা দিতে পাঠান হল সেলুলার জেলে।
কালাপানিতে দ্বীপান্তর
স্বাধীনতা সংগ্রামী- যাদের লাগাম পরাতে পারত না ব্রিটিশ সরকার তাদেরই পাঠান হত কালাপানিতে। সেখানেই চরম অত্যাচারে মৃত্যু হল বা মেরে ফেলা হত। স্বীনতার পরে নামমাত্র বন্দি দেশে ফিরতে পেরেছিলেন।
সিপাহী বিদ্রোহ থেকে কালাপানি
সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে আন্দামানে পাঠান হয়েছিল প্রায় ২০০ জন বিদ্রোহীকে। যার মধ্যে ছিল মুঘর রাজবাংসের সদস্য, বাহাদুর শাহ জাফরের ঘনিষ্টরা।
স্বাধীনতার সময়
১৯ শতকে স্বাধীনতা সংগ্রাম যখন তুঙ্গে ছিল তখন, বিপ্লবীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যই আন্দামানকেই বেছে নিয়েছিল ব্রিটিশরা। সেই সময়ই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঘেরা একটি কারাগারের প্রয়োজন হয়েছিল।
কারাগার তৈরি
মূলত ব্রিটিশ রাজকর্মচারী চার্লস জেমস ল্যাল এবং চিকিৎসক এ এস লেথব্রিজের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল সেলুলার জেল। ১৮৯৬ সালে শুরু কারাগার নির্মাণের কাজ। শেষ হয় ১৯০৬ সালে। তৎকালীন বর্মা থেকে ঘন লাল রঙের ইট এনে প্রথমে তৈরি হয়েছিল কারাগার।
কারাগারের গঠন
কারাগার ভবনের সাতটি শাখা ছিল। কেন্দ্রে ছিল টাওয়ার। যেখান থেকে রক্ষীরা নজরদারি চালাতেন। বাইসাইকেলের চাকায় যেমন স্পোক থাকে, সে ভাবে কেন্দ্র থেকে বিস্তৃত ছিল শাখাগুলো।
কেন সেলুলার জেল
সেলুলার জেল নামকরণ হওয়ার কারণ- এর প্রকোষ্ঠ। কারাগারে মোট ৬৯৬টি সেল ছিল। ছোট ছোট প্রকোষ্ঠে একটি করে ঘুলঘুলি ছিল। যা দিয়ে সামান্যই আলো ঢুকত সেলের অন্দরে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হত বন্দিদের।
অত্যাচার
কঠোর অত্যাচার করা হত। যার কথা বন্দিদের লেখা থেকে জানান যায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হত বন্দিদের।
নৃশংস অত্যাচার
বন্দিদের কেউ মারা গেল সৎকার পর্যন্ত করা হত না। ভাসিয়ে দেওয়া হত সমুদ্রের জলে। অনেক সময় ফাঁসির সাজা দেওয়া বন্দিদেরও সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হত।
কালাপানিতে দ্বীপান্তর
শোনাযায় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় প্রায় ৮০ হাজার সংগ্রামীকে দ্বীপান্তরে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশরা। যারমধ্যে সামান্য সংখ্যকই স্বাধীনতার পরে ভারতে ফিরতে পেরেছিলেন।
নেতাজির দখলে আন্দামান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ১৯৪১ সালে ব্রিটিশদের হাত থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অধিকার করে জাপানি শক্তি। পোর্ট ব্লেয়ারে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের নতুন নামকরণ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ‘শহিদ’ ও ‘স্বরাজ’ দ্বীপ। তবে অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধে জাপানের পতনের সঙ্গে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের কর্তৃত্ব আবার চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে।