সংক্ষিপ্ত
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের দলের নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রো খান্না ও কংগ্রেসম্যান মাইকেল ওয়াল্টজ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। এই সফর ছিল ঐতিহাসিক। কারণ তিনি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। এবার পাল্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার একটি প্রতিনিধি দল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারত সফর করবে। ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভাষণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই দলের নেতৃত্ব দেবেন ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রো খান্না ও কংগ্রেসম্যান মাইকেল ওয়াল্টজ। এই দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে ভারতীয় আমেরিকান দ্বিদলীয় কংগ্রেসের ককাসের সহ সভাপতি হিসেবে তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন আইনপ্রণেতারা লালকেল্লা পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ অগাস্ট যে ভাষণ দেবেন সেখানেও উপস্থিত থাকবেন।
প্রেস রিলিজ অনুসারে মার্কিন আইন প্রণেতারা মুম্বই, হায়দরাবাদ, নতুনদিল্লিতে যাবেন। ব্যবসা, প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। সরকারি ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি বলিউডের স্টারদের সঙ্গেও তাঁরা দেখা করতে পারেন। গান্ধীজিকে উৎসর্গ করা ঐতিহাসিক রাজঘাট পরিদর্শন রয়েছে তাদের সফরসূচিতে।
খান্না আর ওয়াল্টেজের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতে আসবেন কংগ্রেসম্যান ডেবোরা রস, ক্যাট ক্যাম্যাক, শ্রী থানেদার ও জেসমিন ক্রকেট। সঙ্গে থাকবেন রিচ ম্যাককরমির, এড কেস। কংগ্রেসম্য়ান খান্নার জন্য এই সফর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্অ। সোমবার দারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসম্যান খান্নার দাদু অমরনাথ বিদ্যালঙ্কার ছিলেন ভারতের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি গান্ধীজির সঙ্গে চার বছর জেলে কাটিয়েছেন। ভারতের প্রথম সংসদেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।
খান্না বলেছেন, 'ভারত এবং ভারতীয় আমেরিকানদের কংগ্রেসনাল ককাসের সহ-সভাপতি হিসাবে, আমরা ভারতে একটি দ্বিদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত। আমাদের দুটি কাউন্টি, প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম গণতন্ত্রের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক কীভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা সেখানে উপস্থিত থাকব'। তিনি আরও বলেন, মার্কিন-ভারত সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। এই কথা দুই দেশই বিশ্বাস করে। তিনি আরও বলেন, এশিয়ার বহুমুখীতা নিশ্চিত করা ও চিনের আধিপত্যবিস্তার রুখতে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু বা সহযোগী। তিনি আরও বলেছেন, 'আমাদের গণতন্ত্র, সংবাদপত্র ও সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধের ভিত্তিতে অগ্রগতি এবং আমাদের অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই প্রতিনিধি দলটি আরও সহযোগিতা এবং ভাগ করা লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নেওয়ার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।'
চলতি বছর শুরুর দিকে খান্না ও ওয়াল্টজ মার্কিন কংগ্রেসের মার্কিন ভারত সম্পর্কের উপর দৃষ্টি দিয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষ ও নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল।