সংক্ষিপ্ত
স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তিতে শুরু হয়েছে বজ্র জয়ন্তী যাত্রা। এই যাত্রার উদ্দেশ্যই ছিল যে এর সফরকালে এমন কিছু স্থান ও দ্রষ্টব্য-কে চাক্ষুষ করা যা দেশের এক অন্যন্য বৈচিত্র এবং ঐক্য-কে সকলের সামনে তুলে ধরবে। এশিয়ানেট নিউজ-ই এমন এক সংবাদসংস্থা যারা এমন যাত্রার উদ্যোগ নিয়েছে।
এশিয়ানেট নিউজ এবং এনসিসি ক্যাডার হেডকোয়ার্টার্সের উদ্যোগে বজ্র জয়ন্তী যাত্রার রূপরেখা তৈরি হয়েছিল। আর সেই যাত্রায় অসংখ্য এনসিসি ক্যাডার অংশ নিয়েছেন। যাত্রার শুভারম্ভ হয়েছিল কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের হাত দিয়ে। এরপর গত জুন মাস থেকে শুরু করে জুলাই মাস পর্যন্ত এই যাত্রা ৫ রাজ্যের মধ্যে দিয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে। সেখানে ১৫ অগাস্ট এই যাত্রার সমাপ্তি হবে।
৮ অগাস্ট নয়াদিল্লির রাজঘাটের কাছে সত্যাগ্রহ মণ্ডপে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার। এছাড়াও ছিলেন এনসিসি-র ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরবীরপাল সিং। ছিলেন এশিয়ানেট নিউজের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা। উপস্থিত ছিলেন এশিয়ানেট নিউজের ম্যানেজিং এডিটর মনোজ দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তবর্গ এবং এনসিসি ক্যাডার উইং-এর গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে দিয়ে এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের এক্সকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজেশ কালরা জানান,'এই যাত্রার থিম-কে এমন করে সাজানো হয়েছে যেখানে প্রাচীন ভারত ও নবভারতের মধ্যে একটা সেতু তৈরি করা যায়।' যাত্রার সাফল্যের জন্য এনসিসি ক্যাডার হেডকোয়ার্টার্সের প্রশংসা করেন তিনি। যাত্রার জন্য যেভাবে এনসিসি হেডকোয়ার্টার্স এবং লোকাল এনসিসি উইং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাতেও কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানেও যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে তারমধ্যে দিয়ে দেশের এক ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই সংস্কৃতি প্রমাণ করে যে ভারত একটা দেশ হিসাবে কতটা সমৃদ্ধশালী এবং সুমহান ঐতিহ্যের অধিকারী। রাজেশ কালরা এই প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করেন যে, যাত্রার অংশ নেওয়া ক্যাডাররা তাঁদের ভবিষ্যত জীবনের অনেক রসদ এখান থেকে প্রাপ্ত করেছে। এটা তাদের আগামীদিনে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বুঝতে আরও বেশি করে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন তিনি।
দেশের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার তাঁর বক্তব্যে বলেন, এনসিসি শুধু একটা বিশ্বের বৃহৎ ইউনিফর্মড অর্গানাইজেশন নয় এটা একটা সবচেয়ে প্রতিভাবন যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি একটা সংস্থা। বজ্র জয়ন্তী যাত্রার আয়োজনের জন্য তিনি এশিয়ানেট নিউজকে ধন্যবাদও জানান। যেভাবে ইতিহাসের ছোয়ায় বর্তমান ভারতের সফর করেছে এই যাত্রার সদস্যরা তারও প্রশংসা করেন তিনি। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব দেশের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান অধিকার করে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, যখন ইতিহাসকে পিছন ফিরে দেখা হবে তখন এই আজাদি কা মহোৎসব এক সুমহান ঐতিহ্যশালী ঘটনাকে স্মরণ করাবে। যা দেখে দেশবাসী গর্ববোধ করবে বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে জানান।
এনসিসি ক্যাডারের ডিরেক্টর জেনারেল গুরবীরপাল সিং বক্তব্য রাখতে গিয়ে যাত্রার উদ্দেশ্য এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সদস্যদের সকলের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে এনসিসি ক্যাডারদের স্মরণ করিয়ে দেন তাঁদের সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাকেও। এই অনুষ্ঠানে যাত্রায় অংশ নেওয়া এনসিসি ক্যাডারদের হাতে সার্টিফিকেটও তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত এনসিসি ক্যাডারদের নিজ নিজ স্থানের নাচ ও গান পরিবেশন। যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মন কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন-
India@75: দিল্লির পথের ফাইনাল কাউন্ট ডাউন শুরু, এগিয়ে চলেছে স্বাধীনতা ৭৫-এর যাত্রা
India@75: কর্ণাটকে পৌঁছল ইন্ডিয়া ৭৫ যাত্রা, রাজভবনে অভর্থ্যনা জানালেন কর্ণাটকের রাজ্যপাল
কালিয়াপাট্টুর জীবন্ত কিংবদন্তি ৭৯ বছরের পদ্মশ্রী মীণাক্ষি আম্মা, তাঁর ডেরায় বজ্র জয়ন্তী যাত্রা