সংক্ষিপ্ত

ফের বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। 

গোরেগাঁও এবং দাদর শাখার দায়িত্বে থাকাকালীন সেখান থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ম্যানেজার হিতেশ প্রবীণ মেহতার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঠিক গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপর। এরপরেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, কেউ কোনওরকম লেনদেন করতে পারবেন না এই ব্যাঙ্কে।

আর সেই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রাহকদের মধ্যে। তারপর শনিবার, প্রকাশ্যে চলে এল এই ব্যাঙ্কে ঘটে যাওয়া বিপুল টাকার জালিয়াতির অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, হিতেশ প্রবীণ মেহতা নামের সেই জেনারেল ম্যানেজার নিজেই লোপাট করে দিয়েছেন এই বিপুল অঙ্কের টাকা। হিতেশের পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও একজন যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৬ (৫) এবং ৬১ (২) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যাঙ্কে বিরাট মাপের এই দুর্নীতি ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে এই বিরাট টাকার দুর্নীতি হল? আর কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখতে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে ‘ইকোনমিক অফেন্স উইং’-এর উপর।

ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সুরক্ষানীতি অমান্য হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার কাজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এমনকি, এই ব্যাঙ্কের শেষ দুটি বছরের আর্থিক রিপোর্টও সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২০২৩ সালে এখানে ৩১ কোটি টাকার লোকসান হয়েছিল। আর গত ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এই ব্যাঙ্কে।

উল্লেখ্য, ব্যাপক এই কারচুপির আভাস পেয়েই গত বৃহস্পতিবার, নিষেধাজ্ঞা জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে বলা হয়, কেউ এই ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে বা জমা করতে পারবেন না। গ্রাহকদের নতুন করে কোনও ঋণ দেওয়া যাবে না।

আর শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা আসার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাহকদের মধ্যে। এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজারকে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।